গত এক দশকে এত ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেনি প্রতিবেশী পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই সেদেশে ১০০০ জনেরও বেশি মারা গিয়েছেন বন্যা পরিস্থিতির কারণে। এই আবহে এবার নিজের হৃদয়ের বেদনা প্রকাশ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিবেশী দেশের দুর্যোগ নিয়ে মোদী দুঃখপ্রকাশ করে প্রার্থনা করেন যাতে দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে পাকিস্তানে।
টুইট বার্তায় পাকিস্তানের বন্যা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন, ‘পাকিস্তানে বন্যায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আমি দেখে দুঃখিত। আমরা হতাহতদের পরিবার, আহত এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। পরিস্থিতি যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হয়, তার আশা করি।’
প্রসঙ্গত, যত দিন যাচ্ছে ততই পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খাইবার পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধ অঞ্চলে। লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া। মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। গত রবিবার কেবলমাত্র একদিনে একশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম কার্যত ভেসে গিয়েছে। বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে সিন্ধু নদী। উদ্ধার কাজে সেনার পাশাপাশি নেমেছে নৌসেনা। সিন্ধুনদীতে জলের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানে বন্যার কারণে কমপক্ষে ১০৬১ জন মারা গিয়েছে এবং ১৫৭৫ জন আহত হয়েছে। তথ্যে আরও বলা হয়েছে যে প্রায় ৯,৯২,,৮৭১টি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে লক্ষ লক্ষ নাগরিকের কাছে খাবার, পানীয় জল এবং আশ্রয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। প্রায় ৭,১৯,৫৫৮টি গবাদি পশুও মারা গিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে লক্ষ লক্ষ একর উর্বর কৃষিজমিও তলিয়ে গিয়েছে। এই আবহে খাদ্য দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত থেকে আনাজ এবং ভোজ্য দ্রব্য আমদানির বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানান পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল।