সত্যিটাকে লুকানোর দুর্বল প্রচেষ্টা- মোদীর সীমান্ত উক্তির সাফাই প্রসঙ্গে কংগ্রেস
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 20 Jun 2020, 10:53 PM ISTপিএমও-র স্পষ্টীকরণ মানতে রাজি নয় প্রধান বিরোধী দল।
পিএমও-র স্পষ্টীকরণ মানতে রাজি নয় প্রধান বিরোধী দল।
সত্যিটাকে ঢাকা দেওয়ার দুর্বল প্রচেষ্টা। এভাবেই মোদীর চিনা সেনারা সীমান্ত পেরোয়নি উক্তি প্রসঙ্গে পিএমও-র স্পষ্টীকরণ নিয়ে বলেছে কংগ্রেস। চিনা সেনা সীমান্ত পেরোয়নি, সর্বদলীয় বৈঠকে মোদীর এই বক্তব্যের পরেই হইচই শুরু হয়। পিএমও যদিও বলেছে অপব্যাখ্যা হচ্ছে মোদীর বক্তব্যের। তবে সে কথা মানতে নারাজ কংগ্রেস।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন যে স্পষ্ট করে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া উচিত সরকারের। মোদীকে রাজধর্ম পালন করতে ও ভারতের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রাখতেও পরামর্শ দেন তিনি।
একই সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্ন কংগ্রেসের তরফে সরকারের উদ্দেশে তুলে ধরেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন যে গালওয়ান কী ভারতের অংশ নয়। তাহলে সরকার কেন চিনের দাবিকে কড়া ভাবে মোকাবিলা করছে না। সেখানে যদি চিনের সেনা মজুত থাকে, তাহলে কী সেটা ভারতের ভূমিতে অনুপ্রবেশ নয়, প্রশ্ন রণদীপের। প্যাংগং সো নিয়ে সরকার চুপ কেন, সেই প্রশ্নও করেন মুখপাত্র।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মন্তব্য পুরো বিষয়টি লঘু করে দিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন যে বিশেষজ্ঞরা ও স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি থেকে এটা নিশ্চিত যে শুধু ১৫ জুন নয়, বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশ হয়েছে ভারতীয় ভূখণ্ডে এলএসি দিয়ে।
বাম নেতারাও তীব্র ভাষায় পিএমও-র সাফাইয়ের নিন্দা করেছেন। তাদের কথায় এতে উত্তরের চেয়ে প্রশ্ন বেশি থেকে গেল।
প্রসঙ্গত শনিবার সকালে কংগ্রেসের থেকে প্রশ্ন করা হয় চিনকে কী ক্লিনচিট দিয়ে দিলেন মোদী। যদি চিনের সেনা নাই প্রবেশ করে থাকে, তাহলে সংঘর্ষ হল কেন, সেটা জিজ্ঞেস করেন কংগ্রেস নেতারা। জবাবে পিএমও থেকে বলা হয় যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এটা বলেছেন সে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরনোর কোনও চেষ্টা করলে কড়া হাতে আটকানো হবে । আগে যে সেটা হত না, এখন হচ্ছে, সেটাও বলেছিলেন মোদী।
বিবৃতিতে বলা হয় যে সর্বদলীয় বৈঠকে এটা বলা হয় যে অনেক সংখ্যক চিনা সৈনিক প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এসে গিয়েছিলেন। সেই হিসাবেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। ১৫ জুন সংঘর্ষ হয়েছিল কারণ চিন সীমান্তের ঠিক এপারে পোস্ট বানাতে চাইছিল ও বলা সত্ত্বেও তাদের গতিবিধি সরায়নি।
যেই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক, সেটি নিয়েও সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করে পিএমও। বিবৃতিতে বলা হয় মোদী যে বলেছেন যে প্রকৃত সীমান্তের এপারে কোনও চিনা সৈন্য নেই, সেটা ভারতীয় সৈন্যদের বীরত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের সেনাদের আত্নত্যাগের ফলেই ওদিন চিনের সৈন্যরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢুকতে পারেনি ও কোনও পোস্ট ওখানে তৈরী করতে পারেনি, বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
বিবৃতিতে বলা হয়, যখন শহিদরা মারা গিয়েছে তখনও বিতর্ক তৈরী করে সেনাবাহিনীর মনোবল দুর্বল করা হচ্ছে। তবে কোনও রকমের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারে দেশবাসীর একতা ভাঙা যাবে না, বলে জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।