যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে দেশ। বাড়িতে অপেক্ষা করে আছেন তাদের পরিজনরা। অধিকাংশ ডাক্তারি পড়ার জন্য় ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে এরপর তাঁদের ভবিষ্যতের কী হবে? অনেকেই তো পড়াশোনার মাঝপথে ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য় হচ্ছেন। আবার কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? কবে আবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে? আদৌ আর ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের পাঠাতে অভিভাবকরা ভরসা পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে এবার সেই পড়ুয়াদের জন্যই বিশেষ বার্তা দিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল বিজয় কুমার সিং।
টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ‘পোল্যান্ড আর ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইউক্রেন থেকে ফেরা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য় তাদের দরজা খুলে দেবে যাতে তারা পড়াশোনা শেষ করতে পারে।’
তিনি বলেন. ‘একটা বিষয় আপনাদের জানাতে চাইছি বেশিরভাগই বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন। আপনাদের পরিবারও অপেক্ষা করছেন। তাঁরা উদ্বেগের মধ্য়ে রয়েছেন। কিছু জন হয়তো ভাবছেন অন্যদেশে চলে যাই। যদি কোনও চাকরি জোটে! পোল্যান্ডের যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁরা বলছেন যাদের ইউক্রেনে পড়া শেষ হয়নি তাদের দায়িত্ব নেবেন। এরপরই শুরু হয় তুমুল করতালি।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু জন ভাবছেন জার্মানি চলে যাব। কিছু একটা কাজ জুটে যাব। কিন্তু কিছু হবে না।’
রাশিয়া থেকে ইতিমধ্যেই দুটি এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র ভারতে এসে পৌঁছেছে। এদিকে এসবের মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি। রাশিয়ার আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের একাংশ। এদিকে সামনের এপ্রিলে আরও তিনটি ক্ষেপনাস্ত্র রাশিয়া থেকে ভারতের আসার কথা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে কি ক্ষেপনাস্ত্র সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে?
তবে এব্য়াপারে আশার কথা শুনিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপোভ। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে মস্কো-নয়াদিল্লির চুক্তি কোনও বাধার উপর নির্ভরশীল নয়। এই চুক্তি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল।
এদিকে এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র সরবরাহের আগে বার বারই নানা বাধা এসেছে। সেই ২০১৪ সাল থেকে কার্যত নানা টানাপোড়েন। সেই বছরই এই ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার জন্য মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারত। কিন্তু তখন থেকেই আমেরিকা নানা হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু করে। তা সত্ত্বেও ভারত এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। এনিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তিও হয় রাশিয়ার সঙ্গে। এদিকে ২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন এস-৪০০ চুক্তি বাতিল করলে ভারত টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স ও পেট্রিয়ট থ্রি ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাবে। কিন্তু ভারত আগের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। এসবের মধ্য়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিস্থিতির অবনতি। তবে সেই পরিস্থিতিও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না এস-৪০০ সরবরাহের ক্ষেত্রে।