শহর থেকে অনেকটা দূরেই এই বিয়েবাড়ি। আর সেই বিয়ে বাড়িতে একেবারে বরযাত্রী হয়ে হাজির হলেন পুলিশের লোকজন। এমনকী পাগড়িও পরে ফেলেন তারা। কিন্তু এভাবে বিয়ে বাড়িতে বরযাত্রী সেজে পুলিশের টিম কেন এল? পেছনে কি অন্য গল্প? একেবারে ঠিক ধরেছেন।
আসলে গত ১৫ মাস ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাচ্ছিল এক অভিযুক্ত। তাকে ধরতেই বরযাত্রীর ছদ্মবেশ ধরে ফেলে পুলিশ। এরপর সটান বিয়ে বাড়িতে এন্ট্রি। ওই অভিযুক্ত ওরলির একটি বাড়ি থেকে ৫০ লাখ নিয়ে পালিয়েছিল।
পুলিশ অভিযুক্তের আত্মীয়ের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। এরপর তারা বুঝতে পারে দ্বারওয়া তালুকাতে একটি বিয়েবাড়িতে এসেছে ওরা।
এরপর পুলিশ বুঝতে পারে এটা বিনোদ দেওকার নামে অভিযুক্তের ভাইঝির বিয়ে। পুলিশ বুঝতে পারে এই বিয়ে বাড়িতে অভিযুক্ত আসতে পারে। সেকারণেই বরযাত্রীর সেজে তারা অপেক্ষা করতে থাকে।
দাদর পুলিশ স্টেশনে সহকারি ইনস্পেক্টর রামকৃষ্ণ সাগারে জানিয়েছেন, গত ১৫ মে বিয়ে বাড়ি ছিল। সেখানেই গিয়েছিল পুলিশের টিম। ভিড়ের মধ্য়ে লুকিয়ে ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। পাছে জানাজানি না হয়ে যায় সেকারণে বরযাত্রীর বেশ ধরে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পাগড়ি পরে ছিলেন। এরপর দেখা যায় ভিড়ের মধ্যে রয়েছে দেওকার। এরপরই পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ধরে ফেলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ১৭ মার্চ ওরলিতে একটি বাড়িতে চুরি করেছিল দেওকার। বাড়ির সবাই যখন পুজো দিতে গিয়েছিলেন। পরের দিন তারা এসে দেখেন আলমারি ভেঙে ৫০ লাখ নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতী। তদন্তে নেমে পুলিশ এক গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে। সে স্বীকার করে নকল চাবি দিয়েছিল দেওকারকে। কিন্তু সিসি ক্যামেরাতে দেওকারের ছবি ধরা পড়লেও তার খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ।
তবে শেষ পর্যন্ত বিয়ে বাড়িতে তার খোঁজ পেল পুলিশ। পুলিশ আবার জানতে পারে, রাজস্থানে গাড়ির শোরুম খুলেছিল দেওকার। সেখানে আবার প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। এরপর পুলিশ ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারে ওদের আত্মীয়রা সবাই সায়খেরা গ্রামের দিকে যাচ্ছে। এরপরই বিয়েবাড়িতে বরযাত্রী সেজে ঢুকে পড়ে পুলিশ। তারপরই অপারেশন সফল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup