পদ্মাপারে ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা। মা ইলিশ বাঁচাতে গিয়ে জেলেদের হাতে বেদম মার খেল পুলিশ।
পদ্মা–মেঘনায় কোনওভাবেই যেন বন্ধ করা যাচ্ছে না মা ইলিশ শিকার। জেলেরাও হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর বেপরোয়া। এই পরিস্থিতিতে জেলে বনাম পুলিশ মারপিট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মারধরের চোটে বেশ কয়েকজন পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মা ইলিশ শিকারে তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। হামলা করার প্রস্তুতি নিয়েই নদীতে নামছে জেলেরা। বন্ধ হয়নি মা ইলিশ শিকার। সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অসাধু উপায়ে প্রতিনিয়ত নদীতে ইলিশ শিকারে নামছে জেলেরা। চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় ঢাকা হেডকোয়ার্টার নৌ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে ঢাকা হেডকোয়ার্টার থেকে একটি লঞ্চ ও পাঁচটি স্পিডবোট নিয়ে নৌ পুলিশের দলটি চাঁদপুর নৌ সীমানার পদ্মা–মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে নামে। চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউপির লক্ষীরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে অভিযানের সময় জেলেরা তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।
অ্যাডিশনাল এসপি (হেডকোয়ার্টার মিডিয়া) ফরিদা পারভিন বলেন, ‘জেলেরা বেপরোয়া হয়ে উঠবে তা আমাদের মাথায় ছিল না। তারা আমাদের ওপর ইট–পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে। হামলা থেকে রক্ষা পেতে নৌ পুলিশ রাবার বুলেট ও শূন্যে গুলি ছোঁড়ে। ইলিশ শিকারে তারা চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নদীর পাশাপাশি আশেপাশের খাল বিলে এখন অনেক জল। অভিযানের সময় অসাধু জেলেরা খালে বিলে ঢুকে পড়ে।
সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে ইলিশ জেলেরা। তারা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সুযোগ পেলেই দলবদ্ধ হয়ে নেমে পড়ছে নদীতে। আর অবাধে শিকার করছে ডিমওয়ালা মা ইলিশ। হুমকির মুখে পড়েছে দেশের ইলিশ সম্পদ। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘ইলিশ ধরা অবশ্যই ক্ষতিকর। কারণ ইলিশের বংশ বিস্তারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতেই এই নিষেধাজ্ঞা। অসাধু জেলেদেরকে সচেতন করতে হবে। না হলে আগামী দিনে হুমকিতে পড়বে ইলিশ সম্পদ।’