লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ; এই স্লোগান দিয়েই উত্তরপ্রদেশের ভোট প্রচারে নেমে ঝড় তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শতাব্দী প্রাচীন দলকে ফের একবার উত্তরপ্রদেশে প্রাসঙ্গিক করার লড়াইতে রাজ্যের মহিলাদের উপরই ভরসা কংগ্রেসের। এই আবহে ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’ প্রচার বেশ নজর কেড়েছিল জনসাধারণের। এই প্রচারে কংগ্রেসের প্রধান মুখ প্রিয়াঙ্কা মৌর্য। আর এই প্রিয়াঙ্কাই এবার যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। গতকাল গেরুয়া শিবিরের দলীয় কার্যালয়েও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
২০১৭ সালে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেও ডবল ডিজিটে যায়নি কংগ্রেসের আসন সংখ্যা। এবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না বেঁধে অন্যান্য আঞ্চলিক দলের উপর ভরসা দেখিয়েছেন অখিলেশ যাদব। পাশাপাশি সম্প্রতি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন অখিলেশ। এহেন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে যে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস মূল শক্তি নয়, তা জানে কংগ্রেস হাইকমান্ডও। তবু মহিলাদের মধ্যে আবেগের সঞ্চার করে কংগ্রেসকে এই রাজ্যের ভোট মানচিত্রে ফেরানোর ছক কষেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর এই সমীকরণে তালগোল পাকাতে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের প্রচারের মুখ হয়ে ওঠা প্রিয়াঙ্কা মৌর্য বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। আর তা হলে কংগ্রেস বড় ধাক্কা খাবে উত্তরপ্রদেশে। মহিলাদের নিজেদের দিকে টানতে ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’-র অধীনে উত্তরপ্রদেশে ৪০ শতাংশ টিকিট মহিলাদের দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে এবার ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’ প্রচারের মুখই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রচারের মুখ হলেও প্রিয়াঙ্কা মৌর্যকে টিকিট দেয়নি কংগ্রেস। আর এতেই রুষ্ঠ প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস হাইকমান্ডকে তোপ দেগে তাঁর অভিযোগ, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ১০ লক্ষ ফলোয়ার। আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস আমাকে ব্যবহার করেছে। তবে টিকিট দেওয়ার বেলায় অন্য কাউকে টিকিট দিয়ে আমার প্রতি অবিচার করা হল।’ প্রিয়াঙ্কার আরও অভিযোগ, ‘আমি অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব সন্দীপ সিংকে ঘুষও দিতে পারিনি। তাই আমাকে টিকিট দেওয়া হল না।’ এদিকে প্রিয়াঙ্কা মৌর্যর দলবদলের জেরে কংগ্রেসের অন্দরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মহিলাদের ৪০ শতাংশ টিকিট দেওয়ার ঘোষণা তো হয়েছে, তবে সেই ঘোষণা মতো কাজ করা হবে তো?