পঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্তে মোবাইল টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের সংযম দেখানোর আর্জি জানালেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। মোবাইল টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তের প্রতিবাদী কৃষকরা যেমন সংযম, দায়িত্ববোধ এবং শৃঙ্খলার উদাহরণ তুলে ধরেছেন বা পঞ্জাবে বিক্ষোভের সময় কৃষকরা যেমন সংযত ছিলেন, এখনও সেই পথেই হাঁটার আর্জি জানান কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ফোনের সংযোগ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই সাধারণ মানুষ সমস্যার মুখে পড়বেন, এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
গত কয়েকদিন ধরে বর্নলা, ফিরোজপুর, মোগার মতো পঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্তে একটি নির্দিষ্ট টেলিকম অপারেটরের মোবাইল টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু কৃষকরা যাতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত না থাকেন, তা বোঝানোর জন্য টেলিকম পরিকাঠামো প্রদানকারীদের নথিভুক্ত সংস্থা ‘টাওয়ার অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোডাইডারস অ্যাসোসিয়েশন’-এর (তাইপা) তরফে পঞ্জাব সরকারকে আবেদন করা হয়।
তারপরই নড়েচড়ে বসে পঞ্জাব সরকার। জোর করে টেলিকম সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া, টেলিকম কর্মীদের হেনস্থা এবং টেকনিশিয়ানের হেনস্থা করে নিজেদের হাতেই আইন তুলে না নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। যা পঞ্জাবের স্বার্থের পরিপন্থী বলে জানান অমরিন্দর। বিবৃতিতে অমরিন্দর জানান, ‘কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে’ কৃষকদের পাশে সর্বদা দাঁড়িয়ে আছে পঞ্জাব সরকার। কিন্তু সেই কৃষক আন্দোলনের ফলে অন্যান্য মানুষকে যাতে কোনওরকম সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করার আর্জি জানান পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে অনলাইনে পড়াশোনা, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ, বাড়ি থেকে কাজের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হচ্ছে। অচিরেই প্রভাব পড়বে রাজ্যের অর্থনীতিতে। যা করোনার কারণে ইতিমধ্যে যথেষ্ট ধুঁকছে।