২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর কারণে উৎসব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বের সব ধর্মের মানুষ। এই কারণে ক্রিসমাস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর সময় দীপাবলির গুরুত্বের কথাও জানালেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি জানিয়েছেন, আলোর উৎসব দীপাবলি সংকটময় বছরে মানুষের আশা ও একতা জাগানোর প্রতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি উইন্ডসর প্রাসাদে রেকর্ড করা রানির শুভেচ্ছাবার্তায় অতিমারী বা Covid-19 এর স্পষ্ট উল্লেখ না থাকলেও তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষ ফের সংঘবদ্ধ হয়েছেন।
রানি এলিজাবেথ তাঁর বার্তায় বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা আলো জ্বেলে ক্রিসমাসের আগমন উদযাপন করি। আলো উৎসবের আবহ রচনা ছাড়াও অনেক কিছু করে- আলো আনে আশা।খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে যিশুই হলেন বিশ্বের আলো, যদিও এবার আমরা তাঁর জন্মদিন প্রচলিত রীতিতে পালন করতে পারিনি।’
রানি বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ উৎসব পালনের জন্য এবার সমবেত হতে পারেননি। পাসওভার, ইস্টার, ঈদ ও বৈশাখীতে একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কিন্তু আমরা চাই জীবন বহমান থাক। গত মাসে উইন্ডসরের আশপাশে আতসবাজির আলোয় আলোকিত হয়েছিল আকাশ, যখন হিন্দু, শিখ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা দীপাবলি পালন করেছিলেন। আলোর উৎসব, যা সামাজিক দূরত্ব সত্ত্বেও আশা ও সৌভ্রাতৃত্বের আনন্দঘন মুহূর্ত রচনা করে।’
প্রথা মেনে প্রতি বছর নরফোকে স্যান্ড্রিংহ্যামের কান্ট্রি রিট্রিট-এ ক্রিসমাসের ছুটি যাপন করেন ৯৪ বছরের ব্রিটিশ রানি ও তাঁর ৯৯ বছর বয়েসি স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। কিন্তু এ বছর কোভিড নিষেধাজ্ঞার কারণে উইন্ডসর প্রাসাদেই রয়েছেন রাজ-দম্পতি।
ক্রিসমাস শুভেচ্ছাবার্তায় চলতি বছরের সংকটের মোকাবিলায় সংগ্রামরত নার্স ও নবীন প্রজন্ম-সহ কোভিড যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করেন রানি এলিজাবেথ। আগামী ২০২১ সালের অভিষেকের প্রাক্কালে তিনি বলেন, ‘নতুন ভোর নতুন আশা সঞ্চার করবে।’
রানি তাঁর বার্তায় আরও বলেন, ‘অনেকের জন্যই বছরের এই সময়টি শোকাহত হয়ে পড়েছেন। কেউ প্রিয় মানুষ হারিয়ে শোকগ্রস্ত হচ্ছেন, কেউ বা আবার নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রিয়জনদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আসলে ক্রিসমাসের উপহার হিসেবে তাঁদের কাছে সাধারণ আলিঙ্গন বা করমর্দনই সবচেয়ে মূল্যবান।যদি আপনি এঁদের মধ্যে কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝবেন যে আপনি একা নন। মনে রাখবেন, আপনার জন্য আমি নিরন্তর ভাবছি ও প্রার্থনা করছি। সবাইকে আনন্দঘন ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাই।’