সদ্য এক স্কুলের প্রশ্নের ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই স্কুলের প্রশ্ন ছিল, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোন সীমারেখা রয়েছে?’ প্রশ্ন ছিল হিন্দিতে। আর তার উত্তরে এক পড়ুয়া লেখে, ‘ভারত অউর পাকিস্তানকে বিচ কৌন সি সীমারেখা হ্যায়? লম্বাই বতাও।’ অর্থাৎ প্রশ্নের শেষে আরও একটি প্রশ্ন ছিল। যেখানে বলা হয়, ওই সীমারেখার দৈর্ঘ্য কত ছিল!
এই গোটা প্রশ্নের উত্তরে একটি জবাব আসে সীমা হায়দরের নাম নিয়ে। প্রশ্ন যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে থাকা সীমারেখা নিয়ে হয়েছে, সেখানে ওই পড়ুয়ার উত্তর ছিল, ‘দুই দেশের মাঝে সীমা হায়দর আছে। তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ও ৬ ইঞ্চি। দুই দেশের মধ্যে তাঁকে নিয়ে লড়াই রয়েছে।’ এই উত্তরের ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই ছবি ভাইরাল। সেই ছবি ঘিরে তুমুল হইচই। নেটপাড়ায় কার্যত হাসির রোল! উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানে নিজের স্বামীর ঘর ছেড়ে ভারতে সচিন মিনাকে বিয়ে করতে আসেন পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দর। সীমা তাঁর সন্তানদের নিয়ে ভারতে আসেন। তবে পরে জানা গিয়েছে, ওই উত্তরপত্র একেবারে ভুয়ো। তবে ওই উত্তরপত্র ঘিরে ইন্টারনেটে ব্যাপক হাসাহাসি শুরু হয়েছে। এদিকে, গত কয়েক মাসে সীমা হায়দার ও তাঁর প্রেমিক সচিন মীনার প্রেমকাহিনী বেশ জনপ্রিয়তা পায়। পাকিস্তান থেকে সীমাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর স্বামী বারবার আবেদন নিবেদন করেন। তবে তাতে সেভাবে সাড়া দেননি সীমা। এদিকে, সীমার ভারতে আসা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি আদৌ কি সচিন নামের জনৈক নয়ডা নিবাসী ওই যুবককে ভালোবেসেই ভারতে এসেছিলেন? নাকি তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল?
এদিকে, এই বিভিন্ন আলাপ আলোচনার মাঝেই সীমা জানিয়েছেন তিনি ভারতেই থাকতে চান। আর ফিরে যেতে চাননা পাকিস্তানে। ওদিকে, প্রশ্নের উত্তরের প্রেক্ষিতে যে টুইট রয়েছে, তা নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসি শুরু হয়েছে। অনেকেই কমেন্ট করেছেন, ‘এরা হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া।’ অনেকেই লিখেছেন, ‘যেইই লিখে থাকুন না কেন উত্তরটি, তাঁকে বাড়তি নম্বর দেওয়া উচিত।’