সংসদে তিনি পেশ করেছেন একের পর এক ফটোগ্রাফ ( ফটোগ্রাফের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। প্রশ্ন তুলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছেন অগ্নিবীর স্কিম নিয়ে। ২০২৩ বিধানসভা ভোটের আগে, মঙ্গলবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে একের পর এক ইস্যুতে কার্যত মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। রাষ্ট্রপতির বক্ত্যব্যের নিরিখে ‘মোশন অফ থ্যাঙ্কস’-এ এ এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে একাধিক ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাহুল।
রাহুল বলেন, ‘যখন আমরা প্রথম হাঁটা শুরু করেছিলাম, তখন আমরা বিরোধী দলের মতো করেই শুরু করব ভেবেছিলাম আর মানুষকে বলব ঠিক করেছিলাম তাঁদের সমস্যাগুলি। এরপর আমরা ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার এগোতেই একটা বড় পরিবর্তন দেখি। সমস্যার সূত্রগুলি নিয়ে আমাদের বলার চেয়ে যাত্রা নিজেই কথা বলতে শুরু করল। ’
‘আমরা যুবকদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম কর্মসংস্থান নিয়ে, অনেকেই বলেছেন তাঁদের কাছে চাকরি নেই। অনেকেই বলেছেন, তাঁরা উবরের হয়ে গাড়ি চালান। কৃষকরা বলছেন, PM-BIMA যোজনা থেকে পাচ্ছেন না টাকা। তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আদিবাসীরা ট্রাইবাল বিল নিয়ে কথা বলেছেন।’
রাহুল এদিন তোপ দাগেন সেনার অগ্নিবীর স্কিম নিয়েও। ওয়েনাদের কংগ্রেস সাংসদ বলেন,'মনে হচ্ছে, এই স্কিমের ভাবনা আরএসএস থেকে এসেছে। যা ভারতীয় সেনার ওপর একটি ধাক্কা সমান। তাঁরা বলছেন, ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে অস্ত্র দিয়ে, আর তারপর তাঁদের সাধারণ নাগরিক হয়ে যেতে হবে, এমন বিশাল সংখ্যক বেকারত্বের মধ্যে। '
রাহুল গান্ধী বড়সড় অভিযোগ এনে বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার বলেছেন, এই অগ্নিবীর স্কিম সেনার তরফে আসেনি, এটি এনএসএ অজিত ডোভালের থেকে এসেছে।’
রাহুল বলেন,‘কীভাবে অগ্নিবীর যোজনা শুধু একবার রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে এল? সেখানে কর্মসংস্থান বা মুদ্রাস্ফীতি তো জায়গা করেনি। যাত্রার (ভারত জোড়ো)র সময় মানুষ যে ইস্যুগুলি বলেছেন, তা তো উঠে আসেনি রাষ্ট্রপতির ভাষণে! ’
রাহুল বলেন,ভারত জোড়ো যাত্রাকালে দক্ষিণ থেকে উত্তরে একটাই নাম উঠে এসেছে, 'আদানি.. আদানি.. আদানি'। তিনি বলেন,'সকলেই প্রশ্ন করছেন, কোন ম্যাজিকে, আদানি যা ধরেন সেই ব্যবসাতেই সাফল্য পান? কখনও ব্যর্থ হন না? '
'২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী চাপ দিয়ে তৎকালীন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে আদানির ‘পাওয়ার প্রজেক্টে’ জোর দিতে বলেন।'
রাহুলের তোপ,'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, আর ম্যাজিক্যালি এসবিআই এক বিলিয়নের ঋণ দেয় আদানিকে। এরপর তিনি বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বোর্ড ২৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন আদানির সঙ্গে। '
রাহুলের অভিযোগ,'সিবিআই, ইডিকে ব্যবহার করে,ভারতের সবচেয়ে বেশি লাভযোগ্য বিমানবন্দর মুম্বই বিমানবন্দর জিভিকের থেকে ছিনিয়ে আদানিকে দিয়েছে ভারত সরকার।'