মাত্র ১৪ বছরের পুরানো রেলস্টেশন। সেই স্টেশনই কার্যত সহ্য করতে পারেনি হাইস্পিড ট্রেনের ঝাঁকুনি। ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ে স্টেশন বিল্ডিংয়ের একাংশ। মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রেলের বিভিন্ন মহলে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্টেশন বিল্ডিং। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। রেল সূত্রে খবর, বুধবার দ্রুত গতিতে পুস্পক এক্সপ্রেস পার হচ্ছিল চাঁদনি স্টেশন। ট্রেনের গতিবেগ ছিল প্রায় ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সহকারি স্টেশন মাস্টার প্রদীপ কুমার পাওয়ার বলেন, ‘সবুজ পতাকা দেখাতে সবে বাইরে বেরিয়েছি। আচমকাই দেখি বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ছে। আমি দ্রুত এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টা করি। কর্তৃপক্ষকেও গোটা ঘটনা জানিয়েছি।’
রেল সূত্রে খবর, ২০০৭সালে তৈরি হয়েছিল এই স্টেশনটি। মুম্বই ও দিল্লির মধ্যে সংযোগকারী একাধিক ট্রেন এই পথেই যায়। এডিআরএম মনোজ সিনহা বলেন, ট্রেনের ঝাঁকুনিতে বিল্ডিং ভেঙে পড়বে এটা কিছুটা অস্বাভাবিক। প্রথমবার এই ধরনের ঘটনা হল। এদিকে ঘটনার পর থেকে সতর্কতা অবলম্বন করেছে রেল। আপাতত ওই রুটের ট্রেনগুলিকে কিছুটা ধীরে চালানো হচ্ছে। কিন্তু কেন ভাঙল স্টেশন বিল্ডিংয়ের একাংশ? তবে কি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছিল স্টেশন বিল্ডিং? নাকি অন্যান্য কোনও টেকনিকাল কারণ রয়েছে এর পেছনে? গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখছে রেল। পাশাপাশি বিল্ডিংটির মেরামতির কাজও চলছে।