আত্মনির্ভর ভারত: দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি যুদ্ধ জাহাজের সূচনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী

রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, যদি কোনও দেশ নিজেদের জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে চায় তখন মেনল্যান্ডের বাইরেও নিজেদের সেনার শক্তি দেখাতে হয়। যদি কোনও দেশের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্খা থাকে তবে একটি শক্তিশালী নৌবহর তৈরি রাখতে হয়।

উদয়গিরি যুদ্ধ জাহাজের সূচনায় রাজনাথ সিং (ANI Photo/PIB) (ANI/ PIB )

রাহুল সিং

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মাজাগন ডক শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের দুটি যুদ্ধ জাহাজের সূচনা করলেন। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই জাহাজের সূচনা হয়েছে এদিন। এদিকে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতার উপর জোর দিয়েছে সরকার। আর সেই নিরিখে এবার এই যুদ্ধ জাহাজের নির্মাণে অনেকটাই সাফল্য পেল ভারত।

রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, যদি কোনও দেশ নিজেদের জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে চায় তখন মেনল্যান্ডের বাইরেও নিজেদের সেনার শক্তি দেখাতে হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কোনও দেশের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্খা থাকে তবে একটি শক্তিশালী নৌবহর তৈরি রাখতে হয়। আমরা শক্তিশালী, সুরক্ষিত উন্নত ভারত তৈরি করতে চাই। আন্তর্জাতিক শক্তি হিসাবেই গণ্য করতে হয়।

এই দুটি যুদ্ধ জাহাজ মিসাইল ধ্বংসকারী সুরাত ও উদয়গিরি সম্ভবত ২০২৪ এর শেষের দিকে ভারতীয় নৌ বাহিনীর পুরোপুরি চালু করতে পারবে। সুরাত হল P15B শ্রেণির চতুর্থ যুদ্ধজাহাজ। উদয়গিরি P17A ক্লাসের দ্বিতীয় যুদ্ধ জাহাজ। ডাইরেক্টরেট অফ নাভাল ডিজাইন এই যুদ্ধ জাহাজের নকশা করেছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের জেরে গোটা বিশ্বজুড়েই নানা সংকট।  সেক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতার পলিসি দেশকে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, উদয়গিরি ও সুরাত ভারতের আত্মনির্ভরতার উজ্জ্বল নিদর্শন। মিসাইল বহনের জন্য এই যুদ্ধজাহাজ অত্যন্ত উপযোগী। শুধু নিজেদের চাহিদা এতে মিটবে এমনটা নয়, গোটা বিশ্বের জাহাজ তৈরির চাহিদাও মিটবে।