কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনি এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার বিরোধী দলের এই দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ। জানা গিয়েছে এই সাক্ষাতের সময় লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে দুই বিরোধী নেতাকে অবগত করান রাজনাথ সিং। উল্লেখ্য, একে অ্যান্টনি এবং শরদ পাওয়ার নিজেরাও এককালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। জানা গিয়েছে বৈঠকে সিডিএস বিপিন রাওয়াত এবং সেনা প্রধান এমএম নারভানেও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠক চিন-পাকিস্তানের বিষয়ে আলোচনার দাবি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে তাঁর সেই দাবি খারিজ হয়ে যাওয়ায় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন রাহুল। এই পরিস্থিতিতে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলগুলির মন পেতে এই চেষ্টা রানাথ সিংয়ের। প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার রাহুল দাবি করেছেন যে ভারতের অনেকটা অংশ চিন নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তিনি। তবে এর পালটা জবাবও দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। এদিকে জানা গিয়েছে লাদাখ বিষয়ে সংসদে ঝড় তুলতে কোমর কষেছে কংগ্রেস।
এদিকে বৃহস্পতিবারই ভারত-চিন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সহমত প্রকাশ কর। তাজিকিস্তানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেখা করেন চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। এসসি-র বৈঠকে আলোচনা হয় লাদাখ সীমান্ত নিয়ে। এরপরই রাজনাথ সিং এই বৈঠক করলেন। চিনের বক্তব্য, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে হবে কারণ এটি দুই দেশের কারোর পক্ষেই ভালো হচ্ছে না। তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই ইস্যুর একটি সুরাহা বের করা হবে।
এর আগে জুনের শেষ লগ্নে লাদাখে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সমাধানের রাস্তা খুঁজতে লাদাখে দু'দিনের সফরে গিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। সেই সফরে গিয়ে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন রাজনাথ। বলেছিলেন, ‘সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভাব লাদাখে জঙ্গি কার্যকলাপের একটি কারণ। তাই লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়েছে’