গোটা দেশের ১৭টি রাজ্যের রাজ্যসভার ৫৫টি আসনের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রকাশিত নির্ঘণ্ট অনুসারে ভোটগ্রহণ ২৬ মার্চ। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৫টি আসন। ৫টির মধ্যে ৪টি আসনই বর্তমানে রয়েছে তৃণমূলের দখলে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব দেখলে ৫টি আসনেই সহজে জয় পেতে চলেছে তৃণমূলই।
প্রকাশিত নির্ঘণ্ট অনুসারে ৬ মার্চ জারি হবে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি। ১৩ মার্চ মনোনয়ন পেশের শেষ তারিখ। এপ্রিলে রাজ্যসভার ৫৫ জন সাংসদের মেয়াদ ফুরাচ্ছে। তার আগেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চলেছে কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেন চৌধুরী, আহমেদ হাসান ইমরান, মণীশ গুপ্ত ও কেডি সিংয়ের মেয়াদ ফুরাচ্ছে। এর মধ্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ। সূত্রের খবর, তৃণমূল থেকে তাঁর টিকিট পাওয়া এক প্রকার বাঁধা। গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেলেও সাংসদ পদ বাঁচাতে সরাসরি তৃণমূলে যোগদান করেননি তিনি। এবার সরাসরি শাসকদলে যোগ দিয়ে টিকিট পেতে চলেছেন তিনি। তেমনটাই তৃণমূল সূত্রের খবর।
এছাড়া কেডি সিংয়ের তৃণমূল থেকে টিকিট পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেখানে অন্য কাউকে টিকিট দিতে পারে দলটি। নারদা কাণ্ডের কারিগর হিসাবে নাম উঠে আসার পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে কেডি সিংয়ের যোগাযোগ নেই।
এছাড়া বাকি তিন সাংসদের কাজেও খুশি নন তৃণমূলেরই অনেক নেতা। তাদের কেউই সংসদে তেমন সক্রিয় নন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে বাকি তিন জনের টিকিটও কাটা যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রার্থী বাছতে তাই খুব তাড়াতাড়ি বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে অন্তত ৪টি আসনে কার্যত ওয়াক ওভার পেয়েছে তৃণমূল। কারণ রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হলেও বিধানসভায় এখনো তাদের প্রতিনিধিত্ব হাতে গোনা। এই পরিস্থিতিতে ঋতব্রতর আসন ছাড়া অন্য কোনও আসনে কোনও দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার সাহস দেখায় কি না সেটাই দেখার।