গুজরাটের মেহসানায় রামের নামে বের করা শোভাযাত্রা উদ্দেশ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি গতকাল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। তার আগে রবিবার মেহসানায় রামের নামে শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল। সেই শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোটা এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এমনকী উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছুড়তে হয় পুলিশকে। এই হিংসার ঘটনায় পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। (আরও পড়ুন: রামমন্দির কমপ্লেক্সে ১টা নয়, আছে একাধিক মন্দির! জানুন রামলালার গৃহের খুঁটিনাটি)
আরও পড়ুন: আজ নয়া বিগ্রহে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’, 'পুরনো' রামলালার কী হবে? জানুন প্রতিমা কাহন
এদিকে মুম্বই লাগোয়া থানে জেলার মীরা রোডেও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। দাবি করা হয়, রামের পতাকা লাগানো একটি গাড়ির ওপক হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এর জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে নিজে থানের বাসিন্দা। এই হামলার ঘটনাতেও পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়। হিংসার তদন্তে নেমে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার উপলক্ষে সেখানে বাজি ফাটানো হয়। সেই সময় স্থানীয়রা লাঠি নিয়ে চড়াও হয় 'রামভক্তদের' ওপর। সেখানে হামলা চালানো হয় গাড়ির ওপর। এক মহিলার মাথায় আঘাত লাগে এবং রক্তপাত হতে দেখা যায়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
আরও পড়ুন: 'মোদী একা...', রামমন্দিরে দাঁড়িয়ে কী বার্তা দিলেন RSS প্রধান মোহন ভাগবত?
এদিকে আজ দুপুরে অযোধ্যার মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় রামলালার। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর রামলালাকে একেবারে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেইসঙ্গে সাধুদের থেকেও আশীর্বাদ নেন প্রধানমন্ত্রী। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। অযোধ্যার রামমন্দির কমপ্লেক্সের নীচতলায় রয়েছে পাঁচটি কাঠামো এবং গর্ভগৃহ। এখানেই আজ রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৭০ একর জমি জুড়ে তৈরি হয়েছে এই রামমন্দির কমপ্লেক্স। এদিকে গর্ভগৃহে নতুন মূর্তির সামনেই থাকবে পুরনো রামলালার বিগ্রহ। পুরনো বিগ্রহের আকার অনেকটাই ছোট। দর্শনার্থীরা ২৫-৩০ ফিট দূর থেকে পুরনো মূর্তিকে দেখতে পারবেন না। তাই নয়া প্রতিমার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মূল মন্দিরটি হবে তিন তলা। মন্দিরের এক একটি তলার উচ্চতা হবে ২০ ফুট করে। ঐতিহ্যবাহী নাগারা শৈলীতে নির্মিত রাম মন্দিরটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন। এর দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট (পূর্ব-পশ্চিম দিক), প্রস্থ ২৫০ ফুট এবং উচ্চতা ১৬১ ফুট। এতে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ ও ৪৪টি দরজা রয়েছে। এই মন্দিরে পাঁচটি মণ্ডপ বা হল রয়েছে। সেগুলি হল - নৃত্য মণ্ডপ, রং মণ্ডপ, সভা মণ্ডপ, প্রার্থনা এবং কীর্তন মণ্ডপ।