রামমন্দির উদ্বোধনে শুধুই কি বিখ্য়াত লোকজনেরা সব যাবেন? সেখানে কি সাধারণ মানুষের প্রবেশের কোনও সুযোগ নেই? সূত্রের খবর রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন বিখ্য়াত সব লোকজনের উপস্থিত থাকবেন তেমনি একেবারে প্রান্তিক মানুষরাও উপস্থিত থাকবেন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। তবে এখানেই শেষ নয়, গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের পরিবারের লোকজনকেও এই রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, হরিশ দাভি নামে এক অটো রিকশ চালককেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, হরিশ হলেন পর্মা ভাই দাভির ছেলে। তাঁকে ট্রেনের মধ্য়েই জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই পরিবারের সন্তানকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অযোধ্য়ায়।
আসলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করেন যারা তাঁদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। আসলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রামচন্দ্রকে কেন্দ্র করে যে আবেগ, রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে যে আবেগের ঢেউ তাকে গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস, বিজেপি সহ একাধিক সংগঠন এনিয়ে কাজ করে চলেছে। আবেগের নাম রামমন্দির। কার্যত এই পথেই এগোতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতৃত্বের দাবি, সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিরা এই রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। বিভিন্ন ক্ষোভে, বিক্ষোভে, আন্দোলনেও তাঁদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মতে, রামজন্মভূমি আন্দোলন সফল হওয়ার একটা বড় কারণ হল সমাজের সমস্ত শ্রেণির মানুষ এই রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
একদিকে যেমন সাধুসন্তরা আসবেন এই অনুষ্ঠানে। তেমনি ভিভিআইপিরাও আসবেন। ক্রীড়াক্ষেত্র, শিল্পক্ষেত্র থেকে চলচিত্রের দুনিয়া সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বিশিষ্টজনেরা এই অনুষ্ঠানে আসবেন। বিভিন্ন আখড়া থেকে আসবেন সাধুরা।
রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্ধ দিবস ছুটির কথা জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস ও সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের সমস্ত মদের দোকান বন্ধ থাকছে। একই পথে হেঁটে অসম, ছত্তিশগড়, হরিয়ানাতেও মদের দোকান বন্ধ থাকবে। এছাড়াও বিজেপি শাসিত গোয়াতেও সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজে এবং সরকারি অফিস বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।