আগামী ১৩ অথবা ১৪ এপ্রিল (চাঁদ অনুযায়ী) থেকে শুরু হবে রমজানের পবিত্র মাস। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের নবম মাস রমজানের। এ সময় ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা রোজা পালন করেন। চাঁদ দেখার পর রমজানের সূচনা হয়। ১২ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেলে ১৩ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হবে, আবার যদি ১৩ এপ্রিল চাঁদ দেখা যায়, তাহলে তার পরের দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল রমজানের প্রথম রোজা রাখা হবে।
কীভাবে হয়েছিল রমজানের মাসের সূচনা:
ইসলামিক ধ্যান ধারণা অনুযায়ী, ৬১০ খ্রিস্টাব্দে পয়গম্বর মহম্মদে লয়লত-উল-কদ্র উপলক্ষে পবিত্র কোরান শরিফ অবতরণ করেছিলেন। তখন থেকে রমজানকে ইসলামের পবিত্র মাস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে। কোরানে রমজানের মাসের উল্লেখ পাওয়া যায়। কোরান শরিফে বলা হয়েছে, রমজান মাসে পয়গম্বর মহম্মদকে নিজের দূত নির্বাচন করেছিলেন আল্লাহ। তাই এটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র মাস।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী রমজান উপাসনার মাস। এই মাসে রোজা অর্থাৎ উপবাস রাখা হয়। পাঁচ বারের নমাজ পড়া হয়। মনে করা হয়, এই মাসের উপাসনার ফল অন্য সমস্ত মাসের তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। রোজাদারদের জন্য আল্লাহ জন্নতের দ্বার খুলে দেন বলে ধারণা প্রচলিত রয়েছে।
রমজানের বিশেষ রীতি-নীতি:
ইসলাম অনুযায়ী রমজান মাসে রোজা রাখা অনিবার্য। সেহেরি ও ইফতার এই দুটি রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ রীতি। রমজানের সকালের খাবারকে সেহেরি বলা হয়, সূর্যাস্তের আগে এটি পালিত হয়। সেহেরি করাকে সুন্নত বলা হয়। সারাদিনের রোজার রেখে সূর্যাস্তের পর যে খাবার খাওয়া হয় তাকে ইফতার বলা হয়।
রমজান মাসের মূল তিনটি অংশ:
রমজান মাসের ৩০ দিনকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশ অশরা অর্থাৎ রহমতের। দ্বিতীয় মগফিরত ও তৃতীয় অংশ দোজখ থেকে মুক্তি প্রদানকারী। এ সময় রোজাদারদের মিথ্যে কথা বলা উচিত নয়।