সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যে ৫০ শতাংশের সর্বোচ্চসীমা আছে, সেটা তুলে নেওয়া হবে।সেইসঙ্গে বিরোধীদের ইন্ডিয়া (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) জোট ক্ষমতায় এলে দেশজুড়ে জাতিগত জনগণনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী। সোমবার রাঁচিতে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র মধ্যেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি দাবি করেন, এখন যে নিয়ম চালু আছে, সেটার আওতায় ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ দেওয়া যায় না। লোকসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসে সেই সর্বোচ্চসীমা ছুড়ে ফেলা দেবে ইন্ডিয়া জোট। তাঁর বক্তব্য, 'দলিত এবং আদিবাসীদের সংরক্ষণ কমানো হবে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি যে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণি নিজেদের অধিকার পাবে। এটাই সবথেকে বড় ইস্যু - সামাজিক এবং আর্থিক অবিচার।'
কেন পুরো দেশে জাতিগত জনগণনার প্রয়োজন আছে, সেটারও ব্যাখ্যা করেছেন রাহুল। তিনি দাবি করেছেন, দলিত, আদিবাসী এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) মানুষদের ক্রীতদাস করে রাখা হয়েছিল। বড়-বড় সংস্থা, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ এবং আদালতে তাঁদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ‘ভারতের সামনে এটাই সবথেকে প্রশ্ন। তাই (ক্ষমতায় এলে) আমাদের প্রথম কাজটাই হবে যে দেশজুড়ে জাতিগত জনগণনা করা হবে।’
সেই রেশ ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও আক্রমণ শানান রাহুল। তিনি দাবি করেন, দলিত, ওবিসি ও আদিবাসীদের অধিকার প্রদানের জন্য জাতিগত জনগণনার দাবি তোলার আগে প্রধানমন্ত্রী বলতেন যে কোনও জাতি নেই। তখন শুধুমাত্র দুটি জাতিই থাকত - গরিব এবং ধনী। কিন্তু ভোট এসে যেতেই মোদী নিজেকে ওবিসি বলতে শুরু করেছেন বলে দাবি করেন রাহুল। তাঁর কথায়, 'যখন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ, দলিত, আদিবাসীদের অধিকার প্রদানের বিষয়টা আসে, তখন (মোদীর চোখে) কোনও জাতি থাকে না। কিন্তু ভোট এসে গেলেই উনি নিজেকে ওবিসি বলে দাবি করে থাকেন।'
উল্লেখ্য, সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপনের ভাষণের সময় নিজেকে 'ওবিসি' বলেন মোদী। কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি নিয়ে বিরোধী নেতারা মুখ খোলেন। দাবি করেন যে মোদী সরকারের উচ্চপদে কোনও ওবিসি নেই। অথচ তাঁদের সামনে যে সবথেকে বড় ওবিসি দাঁড়িয়ে আছেন। যে কথাটা বলার সময় নিজেকেই দেখান মোদী।