নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের পতাকা উড়ল আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবন জঙ্গিরা। বিশ্ব দরবারে এখন তারা স্বীকৃতি তায়। তবে এরই মাঝে তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সলতে পাকাতে শুরু করল আফগানিস্তানের উত্তরে বসাবসরত বিভিন্ন জনজাতির যোদ্ধারা। নর্দার্ন অ্যালায়েন্স নামক এই জোট এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল। আপাতত এই জোটকে ফের সংঘবদ্ধ করছেন কিংবদন্তি আফগান যোদ্ধা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে। সেই জোটের সঙ্গে রয়েছেন আলি রাশিদ দোস্তুম। তিনি একজন উজবেক যোদ্ধা। এর আগে তিনি আফগানিস্তানের উপ-রাষ্ট্রপতি থেকেছেন দীর্ঘদিন। এই জোটেই যোগ দিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপ-রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহও। উল্লেখ্য, একসময় মাসুদের অধীনেই প্রথমে সোভিয়েত পরে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সালেহর।
ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ জানিয়েছেন যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব আপাতত তিনি সামলাবেন। তিনি বর্তমানে পঞ্জশিরে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জনজাতির যোদ্ধাগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে ফের তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছক কষছেন দেশের প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে যেই সময় আফগান গৃহযুদ্ধ চলছিল, সেই সময় কখনওই হিন্দুকুশের মাঝে থাকা এই পঞ্জশির প্রদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি তালিবান জঙ্গিরা। এবারও পঞ্জশিরে এখনও পা রাখতে পারেনি তালিবান। পঞ্জশিরের ভৌগলিক অবস্থানের জন্য এটিকে দুর্গে পরিণত করে। পার্বত্য এই এলাকা খলে অসমর্থ হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নও। এরই মাঝে এই দুর্গে উত্তরের যোদ্ধাদের এই জোটের পতাকা উড়িয়ে তালিবানকে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবারই নিজেরকে অন্তরবর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে টুইটারে লেখেন, 'আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী দেশের রাষ্ট্রপতি মারা গেলে বা ইস্তফা দিলে, পালিয়ে গেলে, অথবা তাঁর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হন। আমি এখন দেশের ভিতরেই আছি আর আমি আইনত কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট। সব নেতাদের সমর্থন আর সম্মতি পেতে আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।'