ক্ষমতায় এসে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তালিকা ফের খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। সেইসঙ্গে অসমে স্থায়ীভাবে শান্তি স্থাপনের জন্য আলফা জঙ্গিদের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ডাক দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাই যে সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়, সেকথা জানাতেও ভোলেননি তিনি।
শপথ নেওয়ার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী যেসব জেলা রয়েছে, সেখানে এনআরসিতে বাদ যাওয়া নামের মধ্যে ২০ শতাংশের পুনরায় যাচাই হবে। অন্যদিকে অন্য জেলার ক্ষেত্রে এনআরসিতে বাদ যাওয়া নামের মধ্যে ১০ শতাংশের পুনরায় যাচাই হবে। এই যাচাইয়ের পরেও যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে সরকার তা গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত করবে। আর যদি এই যাচাইয়ের পর কোনও ভুল বের হয়, তাহলে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব ও আদালতের মতামত নেব।’
কংগ্রেসের অবশ্য অভিযোগ, এনআরসিতে এমন সব নাম বাদ গিয়েছে, যাঁরা দেশের নাগরিক। আর যাঁদের নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই রেহাই পেয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অসমে এনআরসিতে যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়, তাতে ১৯ লাখ লোকের নাম বাদ গিয়েছে।
সোমবার রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলার প্রশ্নে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫ বছরে অসমে অনেকটাই শান্তি ফিরে এসেছে। আমি আলফা–ইন্ডিপেনডেন্টের নেতা পরেশ বড়ুয়ার কাছে আবেদন করব যাতে হিংসার আশ্রয় না নিয়ে রাজ্যে স্থায়ীভাবে শান্ত স্থাপনের জন্য অসম সরকারকে সহযোগিতা করেন।’ একইসঙ্গে করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অসমে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে। প্রতিদিন প্রায় ৫,০০০-এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ অসমের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ২৪ ঘণ্টা মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করবেন। যে সব সমস্যার এখনও কোনও সমাধান হয়নি, সরকার চেষ্টা করবেন তা সমাধান করার।