লিজ ট্রাসের কাছে হেরে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। তবে ফের একবার ক্রিজে নামার সুযোগ পেয়েই সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঋষি সুনক। যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ, নিরাপত্তা সচিব টম টুগেনধাত এবং আরও এক প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক সহ ১০০ জনেরও বেশি সাংসদের সমর্থন পেয়ে গেলেন ঋষি সুনক। নিয়ম অনুযায়ী, ন্যূনতম ১০০ সাংসদের সমর্থন পেলেই সরকারি ভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি জানাতে পারবেন কোনও নেতা। এই আবহে, পাওয়ারপ্লেতেই ‘অ্যাডভান্টেজ’ ঋষির।
এর আগে জুলাই মাসে বরিস জনসনের ইস্তফার পর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে ১৩৭ জন সাংসদের সমর্থন পেয়েছিলেন সুনক। তবে পার্টি সদস্যদের ভোটে ফাইনালে হার মানতে হয়েছিল তাঁকে। এদিকে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ঋষি ছাড়াও এবারে রয়েছেন পেনি মর্ডন্ট এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান। এছাড়া ফের একবার নাম ভাসছে বরিস জনসনের। শোনা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বরিসকে সমর্থন করতে প্রস্তুত ৪৪ জন সাংসদ। অপরদিকে পেনি মর্ডন্ট সমর্থন পেয়েছেন ২১ জনের। এই আবহে সবার থেকে আপাতত অনেকটাই এগিয়ে ঋষি।
মাস দেড়েক আগে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে গেলও সাংসদদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন ঋষি সুনকই। আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তাঁকে খানিকটা এগিয়ে দিয়েছে সেই সাংসদদের সমর্থন। আগের বার পার্টির সদস্যেদের ভোটে হেরেছিলেন ঋষি। সেবার জয়ী লিজ পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। ঋষি ৬০ হাজার ৩৯৯টি। এ বার পার্টি সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে ঋষির সুযোগ বেড়েছে। এদিকে ঋষি সুনকের সমর্থনে সাজিদ জাভইদ বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, তার সঙ্গে লড়াই করার যোগ্যতা ঋষির রয়েছে। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যে এবং দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ও একদম সঠিক ব্যক্তি।’