সম্প্রতি কলকাতায় জাতীয় গঙ্গা কমিশনের মিটিংয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য় রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি নদী ভিত্তিক পর্যটনের উপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েও তিনি এই জলপথে সফরের কথা উল্লেখ করেছিলেন। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় এই প্রকল্প রূপায়িত হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার সেই নদী পর্যটনে কার্যত জোয়ার আসছে ভারত জুড়ে। আর সেই তালিকায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে কলকাতাও।
বারাণসী থেকে শুরু হবে বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ সফর।সব মিলিয়ে ২৭টি নদী পথে চলবে এই নৌবহর। আগামী ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারানসী থেকে এই জলযাত্রার সূচনা হবে। প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথে সব মিলিয়ে ৫০টি পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। কোন পথে যাবে এই নৌবহর?
বারানসীর ঘাটের গঙ্গা আরতি দেখা যাবে এই জলযান থেকে। এরপর অন্তত ২৭টি নদী পথে যাবে এই নৌবহর। গঙ্গা, ব্রহ্মপূত্র, মেঘনা তিন নদীর বুকেই চলবে এই বিশাল নৌবহর। এরপর কলকাতা ঢাকা হয়ে অসমের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাবে এই বিলাসবহুল নৌযান। ক্রুজের যাতায়াতের পথে সুন্দরবন ও অসমের কাজিরাঙা অভয়ারন্যও পড়বে। কার্যত একবার এই নৌবহরে চাপলে যে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন আপনি তা সারা জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বারানসী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত জলপথে যেতে সময় লাগবে প্রায় ৫০দিন। পথে ৫০টি পর্যটনকেন্দ্রকে ছুঁয়ে যাবে এই নৌবহর। বারাণসী, পটনা, নবদ্বীপ, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, ঢাকা, গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় সহ দুই দেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ শহরকে ছুঁয়ে যাবে এই জলযান। ভারত ও বাংলাদেশের নদী তীরবর্তী এলাকায় অপরূপ সৌন্দর্যকে দুচোখ ভরে দেখার সুযোগ পাবেন আপনি। ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে পিপিপি মডেলে এই নয়া সফরের সূচনা করতে চাইছে। কার্যত অত্যাধুনিক হোটেলের সুবিধা পাওয়া যাবে এই জলযানে।
পর্যটকদের সুবিধার জন্য এই জলযানে থাকছে ১৮টি সুইট। জলযানে আধুনিকতম রেস্তরাঁ, স্পা, সান ডেক থাকছে সবটাই। তবে নদীপথে নাব্যতা কতটা রয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আসলে ট্রেনপথে, সড়কপথে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকেরই। তবে জলপথে বেড়ানোর সুযোগ সেভাবে থাকে না। তবে এবার সেই সুযোগ আসতে চলেছে।