দীর্ঘ নয় বছরের আইনি লড়াই জিতে শেষ পর্যন্ত তিরুবনন্তপুরমের প্রাচীন শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দির পরিচালনার অধিকার অর্জন করল ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরে তাঁদের সমর্থন জানানোর জন্য মন্দিরের সব ভক্তদের পরিবারের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
শবরীমালাকাণ্ডে হাত পুড়বার পরে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনবর্বিবেচনা করার আবেদন জানানোর গরজ দেখায়নি রাজ্য সরকার। অন্য দিকে, শীর্ষ আদালতের রায় জানার পরে লকডাউন বিধি মেনেই মিষ্টি বিতরণ করতে রাস্তায় নামেন পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের ভক্তরা।
রাজ পরিবারের সদস্য অস্বতী তিরুনাল লক্ষ্মী বাই জানিয়েছেন, ‘এই জয় রাজ পরিবারের জয় নয়। এ হল মানুষ ও অসংখ্য ভক্তের জয়। শেষ পর্যন্ত প্রভু পদ্মনাভস্বামীর ইচ্ছাই ফলল। আমরা এই জয় দেবতার চরণেই নিবেদন করছি।’
শবরীমালা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত (তন্ত্রী) পরিবারের সদস্য আন্দোলনকর্মী রাহুল ঈশ্বর জানিয়েছেন, ‘ভক্তদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে এই যুগান্তকারী রায়। আইনের ২৫ ও ২৬ ধারায় ভক্তরা ধর্মস্থান নিয়ন্ত্রণের সব রকম অধিকার লাভ করেন। কিন্তু কিছু কিছু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই অধিকার সরকারের থাকে। এই অধিকার এবার সাধারণের উপরে ন্যস্ত হল।’
তাঁর মতে, এ দিনের রায় শবরীমালা-সহ এই সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার রায়ের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হবে।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের এক বেঞ্চ সব বয়েসি মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে পুজো করার অধিকার দেয়, যার জেরে কয়েক দফা জোরদার প্রতিবাদ দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, বরাবরই শবরীমালা মন্দিরে রজঃশীলা নারীর প্রবেশ নিষিদ্ধ। প্রতিবাদের জেরে পরবর্তীকালে নিজের রায় পুনর্বিবেচনা করতে বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠায় শীর্ষ আদালত।
এ দিনের রায় সম্পর্কে ঐতিহাসিক এম জি শশীভূষণ বলেছেন, ‘এই রায়কে স্বাগত। এর ফলে মন্দিরের দখল সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী অনিশ্চয়তার অবসান হল।’