আরপিজি এন্টারপ্রাইসের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা ইতিমধ্যেই একাধিক বার্তা দিয়েছেন ওমিক্রন নিয়ে। এরপর নববর্ষের ঠিক আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, এবার তাঁদের 'ওয়ার্ক প্লেস' বন্ধ করা হচ্ছে। আর তার সঙ্গেই কর্মীদের ফের একবার ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর পন্থায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন এই শিল্পপতি।
উল্লেখ্য, কোভিডের প্রথম দুটি স্রোতে ভারতের একের পর এক সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর কাঠামো বেছে নেয়। তবে ভ্যাকসিনেশন চালু হওয়ার পর ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে ভারতের একাধিক সংস্থা ফের একবার কর্মীদের অফিসে আসার বিষয়ে উদ্যোগী হয়। এরমাঝেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে যায় ওমিক্রন ত্রাস। এদিকে, ওমিক্রনের ভয়াবহতা নিয়ে গত কয়েকদিনে শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা একাধিক টুইট বার্তায় নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কয়েকদিন আগেই তিনি জানিয়েছেন, যে হাসপাতালের সঙ্গে তিনি যুক্ত, মুম্বইয়ের সেই হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ফলে ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক হওয়ার সময় এখনই এসে গিয়েছে। এদিকে, এরপর গত শুক্রবার থেকেই তিনি আরপিজি গ্রুপের সমস্ত কর্মীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমএর পন্থায় কাজ করার নির্দেশ দেন।
এক টুইট বার্তায় হর্ষ গোয়েঙ্কা লেখেন, 'ভারত জুড়ে কোভিড কেস উদ্বেগজনক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এ ফিরে এসেছি এবং আমাদের কর্মক্ষেত্রগুলি বন্ধ করে দিয়েছি, আজ থেকে তা কার্যকর৷ আমি আশা করি অন্যান্য সংস্থাগুলিও এটি অনুসরণ করবে এবং চেইন ভাঙার চেষ্টা করবে'। শুক্রবার টুইটে হর্ষ গোয়েঙ্কার এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন অনেকেই। এরপর জল্পনা চড়তে থাকে, যে আরপিজি গোষ্ঠীর পথে দেশের বাকি সংস্থাগুলোও কি একই রাস্তা নেবে? আপাতত কোভিড পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতির উপর তার অনেকটাই নির্ভর করছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।