ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়ে বসবাস করা মুসলিমদের সেখানো কোনও সম্মান পান না। ভারতের মুক্তমনা সংস্কৃতির প্রসংশা করে এমনই দাবি করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। 'বীর সাভারকার: দ্য ম্যান হু কুড হ্যাভ প্রিভেন্টেড পার্টিশন' বইটির লঞ্চের বক্তৃতায় আরএসএস প্রধান বলেন যে 'যে ব্যক্তি ভারতবর্ষের লোক, সে সবসময়ই একই রকম ভাবে ভারতেই থাকবে।' সাভারকরের কথা উল্লেখ করে সংঘ প্রধান বলেন, দেশে বিভিন্ন ধর্ম পালন করা হলেও, 'হিন্দু জাতীয়তাবাদ' ঐক্যের কথা বলে।
গত মঙ্গলবার এখ অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান বলেন, 'দেশভাগের পর যেসব মুসলিমরা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল তাদের সেখানে কোনও সম্মান নেই। ভারতে একটি উদার সংস্কৃতি আছে। এটা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই সংস্কৃতি আমাদের একত্রে আবদ্ধ করে। এটাই হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতি। সাভারকর লিখেছিলেন যে কীভাবে হিন্দু রাজার গেরুয়া পতাকা এবং নবাবের সবুজ পতাকা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিল।'
আরএসএস প্রধান আরও বলেন, 'সাভারকরজি বলেছিলেন যে ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল যে তারা কেবল বিভাজন তৈরি করে ভারত শাসন করতে পারে। তাই তারা মৌলবাদ বাড়ানোর দিকে কাজ করেছিল। আন্দামান থেকে ফিরে আসার পর, সাভারকরজি তার বইয়ে লিখেছিলেন যে হিন্দু জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুশীলন সত্ত্বেও ঐক্য স্থাপন করবে।'
মোহন ভগবত বলেন, 'স্যার সৈয়দ আহমেদ খান বলেছিলেন যে তিনি ভারত মায়ের (লাহোরে) সন্তান। শুধু তাঁর উপাসনার পদ্ধতি ইসলাম ছিল। এই ছিল ভরতের মেজাজ। অতীতেও ভারতে মৌলবাদের ঢেউ ছিল। ইতিহাসে, যেখানে একদিকে ছিল দারা শিকোহ এবং আকবর, সেখানে ঔরঙ্গজেবও ছিলেন যিনি বর্ণনাটি উল্টে দিয়েছিলেন। দারা শিকোহ, হাকিম খান সুর, হাসান খান মেওয়াতি, ইব্রাহিম খান গার্দি, আশফাকউল্লা খান এবং অন্যান্যদের নাম স্মরণ করা উচিত।'