ইউক্রেনে ‘যুদ্ধ’ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দু'ঘণ্টার বৈঠকে মোদী আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারতীয় পড়ুয়াদের সুরক্ষা এবং তাঁদের দেশে ফেরানোর উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হবে। যাতে দ্রুত ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানো যায়, সেজন্য রোমানিয়া, হাঙ্গেরির মতো পড়শি দেশের সঙ্গে আরও সমন্বয় গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ ঘোষণার পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত’ দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়েছে নয়াদিল্লি। রোমানিয়া, হাঙ্গেরির মতো ইউক্রেনের মতো পড়শি দেশের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছেন মোদী। বিকল্প রুট চিহ্নিত করে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের পড়শি দেশগুলিতে আনা হচ্ছে। তারপর বিমানে করে তাঁদের দেশে ফেরানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে একাধিক বিমান ভারতে পৌঁছে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বাহিনী কিয়েভের আরও কাছে চলে আসার মধ্যেই রবিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসবে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। তবে কোথায় আলোচনা হবে, কোন সময় আলোচনা হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এএফপি জানিয়েছে, জেলেনস্কি এবং বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সজান্ডার লুকাশেনকোর ফোনালাপের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চেরনোবিলে সেই আলোচনা হবে। তারইমধ্যে রবিবার পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।