ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আবার ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরানো নিয়ে।
ইউক্রেন থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরানোর জন্য জেলেনস্কি ও পুতিনের সাহায্য চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিশেষ করে সুমি থেকে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে বের করে ভারতে নিয়ে আসার জন্য তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন বলে সরকারি সূত্র জানাচ্ছে। সুমিতে ৭০০ জন সাতশ ভারতীয় ছাত্রছাত্রী খুবই উদ্বেগের সঙ্গে ও খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ রেখে চলেছে। রাশিয়া এখন যে চার শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, তার মধ্যে সুমিও আছে।
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথমে ফোন করেন জেলেনস্কিকে। তাঁদের মধ্যে ৩৫ মিনিট ধরে কথা হয়। ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে জেলেনস্কি যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদী। সুমির ক্ষেত্রেও একই ধরনের সাহায্য প্রত্যাশা করছেন বলে তিনি জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যে আলোচনা চালাচ্ছে, তার প্রশংসা করতেই হবে। সবসময়ই সরাসরি আলোচনা কাম্য। দুই নেতাই ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারে কথা বলেছেন।
এরপর পুতিনকে ফোন করেন মোদী। দুই নেতার মধ্যে ৫০ মিনিট ধরে কথা হয়। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে এখনও পর্যন্ত যে আলোচনা হয়েছে, তা মোদীকে জানান পুতিন। মোদী অনুরোধ করেন, পুতিন যেন জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেন। পুতিন যে একতরফা যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছেন, তাকে মোদী স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে সুমি-সহ অন্য শহরগুলি থেকে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। মোদী বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি সুমিতে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে চান। পুতিন তার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)