উৎসবের মরশুমে খুলে গেল বিতর্কিত শবরীমালা মন্দির। সাত মাস বন্ধ থাকার পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হল কেরালার এই মন্দির। তবে প্রচুর কড়াকড়ি–নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এই মন্দিরে রজঃস্বলা নারীদের প্রবেশ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। তা থেকে আন্দোলন এবং অবশেষে মামলা পর্যন্ত হয়েছিল। বার বার সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছিল শবরীমালা মন্দির। করোনা পরিস্থিতিতে এবার তা খুলে দেওয়া হল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওনামের পর থেকে কেরালার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাত থেকে আট হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। যদিও উন্নত স্বাস্থ্য–ব্যবস্থার কারণে সে রাজ্যে মৃত্যুহার মাত্র ০.৩ শতাংশ। আগেই সতর্ক করা হয়েছিল এই রাজ্যকে। এই রাজ্যই প্রথমে করোনা প্রতিরোধে রোল মডেল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এখন কেরালার পরিস্থিতি অনেক খারাপ। সেখানে এই মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়লেও সব কিছু বন্ধ থাকায় অর্থনীতি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই পর্যটনের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে কোলা সরকার। শনিবার শবরীমালা মন্দিরের দরজাও খুলে দেওয়া হল। তবে দিনে ২৫০ বেশি দর্শনার্থীকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ঠিক হয়েছে। দর্শনার্থীদের অনলাইনে নথিভুক্ত করতে হচ্ছে নাম। শুধুমাত্র ১০ থেকে ৬০ বছর বয়েসিরা মন্দিরে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছেন।
মাস্ক তো পরতেই হচ্ছে। এমনকী দর্শনার্থীদের করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হচ্ছে। যাঁরা এই শংসাপত্র নিয়ে আসছেন না, তাঁদের জন্য মন্দিরের বাইরে র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাত ধুতে হচ্ছে স্যানিটাইজার দিয়ে। শরীরের তাপমাত্রার পারদ মাপা হচ্ছে বলেও খবর।