মধ্যপ্রদেশের সেহোর শহরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন ‘স্ত্রী’। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে পুড়ে মারা গেলেন স্বামীও। ময়না তদন্ত রিপোর্ট বলছে, তাঁরা দুজনেই শারীরিক ভাবে পুরুষ ছিলেন।
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জীবনযাপন করেন এই দম্পতি। বিয়ের দুই বছর পরে এক শিশুকন্যাকে তাঁরা দত্তকও নেন।
সেহোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর যাদব বলেন, তুমুল বচসার জেরে প্রথমে গায়ে আগুন দেন একজন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর পুড়ে যান তাঁর সঙ্গী। দুজনকেই জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে ১২ অগস্ট তাঁদের ভোপাল সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
সেদিনই মৃত্যু হয় প্রথম জনের। দ্বিতীয় জন মারা যান ১৬ অগস্ট। যাদবের দাবি, ময়না তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁরা দুজনেই পুরুষ ছিলেন। দুই পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, রূপান্তরকামী কোনও ব্যক্তির পরিচয় বিশেষ। তা কখনও শারীরিক বৈশিষ্টের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা যায় না।
নিহত স্বামীর দাদা জানিয়েছেন, তাঁর ভাই পরিবার ছেড়ে বরাবরই সেহোর শহরে আলাদা বসবাস করতেন। তবে তিনি রূপান্তরকামী আন্দোলনকে সমর্থন করতেন। তাঁরই এক সমকামী বন্ধু স্বাধীন ও ভয়হীন জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখতেন বলে পরে তাঁকেই তিনি হিন্দুমতে বিয়ে করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই ধারা অনুযায়ী ভারতে পারস্পরিক সম্মতিক্রমে যৌন মিলন অপরাধ হিসেবে গণ্য হত। দেশে সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে নিয়ে আইনে কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশ নেই। যদিও এই নিয়ে কেরালা হাই কোর্টে একটি মামলা বিতারাধীন রয়েছে।