কাশ্মীরের এলজি থেকে গোয়ার রাজ্যপাল হয়ে এবার মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাবেন সত্যপাল মালিক। তথাগত রায়ের জায়গায় উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব নেবেন তিনি। ত্রিপুরা ও মেঘালয় মিলিয়ে রাজ্যপাল হিসাবে পাঁচ বছর হয়ে গেল তথাগত রায়ের। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের বিজ্ঞপ্তিতে তথাগত রায়ের কোনও বদলি পোস্টিংয়ের উল্লেখ করা নেই। সেই থেকেই ছড়িয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
কয়েকদিন আগেই সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তথাগত রায়। সামনেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথাগত রায় ফের যদি দলে প্রবেশ করেন, তাহলে বর্তমান সমীকরণগুলি যে অনেকাংশে বদলাতে পারে, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজ্যপালদের কোনও পদের মেয়াদ থাকে না, তবে সচারচর সেটি পাঁচ বছরের হয়। তথাগত রায়ের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হল না যদিও অতীতে ১২ বছর টানা রাজ্যপাল থাকার নজিরও আছে। তিন বছর ত্রিপুরা ও দুই বছর মেঘালয়ের রাজ্যপাল ছিলেন তথাগত রায়। কিছুটা পলিটিকালি ইনকারেক্ট ভাবেই দেশ ও দশের নানান বিষয় নিয়ে টুইটারে মতামত রাখতেন। এই নিয়ে বিতর্কও ছড়িয়েছে, দাবি উঠেছে তাঁর অপসারনের, কিন্তু ভ্রুক্ষেপ করেননি তিনি।
তবে আগামী মাসে ৭৫ হয়ে যাচ্ছে তাঁর। তাই সেখানে তাঁকে ফের আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরাতে কতটা ইচ্ছুক হবে দল, সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। এদিন এই খবর আসার পর তথাগত রায় টুইটারে জানান তাঁর সঙ্গে সত্যপাল মালিকের কথা হয়েছে। গোয়ার পাট গুটিয়ে সত্যপালের মেঘালয়ে যেতে একটু সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
তবে তিনি যে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়ে খুশি সেটা জানান তথাগতবাবু। তিনি বলেন যে ২০ মে এই দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল, সেই প্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে।
সত্যপাল মালিক জম্মু-কাশ্মীরে খুব সুচারূ ভাবে নিজের কাজ করতে পারলেও গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নানান বিষয় বিতর্কে জড়িয়েছেন। বনিবনা হচ্ছিল না তাঁদের মধ্যে। আরএসএসের বাছাই করা মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের ওপর ভরসা রেখে তাই মোদী সরকার গোয়া থেকে সরিয়ে দিল সত্যপাল মালিককে। আগের থেকে এখানে অনেকটাই মিডিয়াক আতসকাঁচ কম থাকবে মালিকের ওপর। কিন্তু তিনি যার স্থানে আসছেন, সেই তথাগত রায়ের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট কী, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।