ফের একবার বিস্ফোরক সত্যপাল মালিক। মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক এককালে গেরুয়া ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি পেলেও, সদ্য তিনি বিজেপি বিরোধিতায় সরব হতে শুরু করেছেন। এক বিস্ফোরক বার্তায় তিনি বলেন, 'এমএসপিতে কেন্দ্রীয় সরকার আইনত গ্যারান্টি দিতে অপারগ হয়েছে, কারণ প্রধানমন্ত্রীর এক বন্ধুর জন্য। যে বন্ধু, পানিপতের ৫০ একর জমিতে গোডাউন তৈরি করেছেন, যা তিনটি কৃষি আইন তৈরি হওয়ার আগে নির্মিত হয়। কিনতে চেয়েছিলেন গম কম দামে, আর তা বেশি দামে বিক্রি করতে চান। এই লড়াই সরকার বনাম কৃষকদের লড়াই।'
উল্লেখ্য, ফের একবার মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যপাল পদে মেয়াদ রয়েছে আর ছয় থেকে সাত মাস। আর মেয়াদ শেষ হলেই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বড়সড় আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বিস্ফোরক মন্তব্যে জানান, যে তাঁকে রাষ্ট্রপতির পদের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর দাবি, তবে শর্ত ছিল, এই তিন কৃষি আইন নিয়ে কিছু বলা যাবে না। পাল্টা সত্যপাল মালিকের দাবি, রাজ্যপাল পদের মেয়াদ শেষ হলেই উত্তর ভারতে গিয়ে তিনি বৃহত্তর কৃষকআন্দোলনের পথে নামবেন। হরিয়ানার খান্ডেলা গ্রামে খাপদের সভায় তিনি বলেন, ২০২৪ সালে কৃষকদের নিজেদের একটি সরকার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, 'আমি একটি আন্দোলনে নামব যেখানে সমস্ত উত্তরভারতের কৃষকরা একজোট হবেন।' ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যুর পরও প্রধানমন্ত্রী কেন তাঁদের মৃত্যুতে শোক বার্তা জানালেন না? সেই প্রশ্ন তোলেন সত্যপাল মালিক।
মেঘালয়ের রাজ্যপালের অভিযোগ, বড়সড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই এমনতর কৃষি আইন আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, 'ওঁরা আমাকে লোভ দেখানোর চেষ্টা করেছিল বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে, আমি তাঁদের সমস্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই আর কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলি। রাজ্যপাল আর রাষ্ট্রপতির পদ কিছুই নয়।' তিন সাফ বার্তায় জানান যে, দিল্লি নেতাদের উৎখাত করার সময় চলে এসেছে, আর সেই মর্মেই তিনি পদক্ষেপ করতে চলেছেন বলে জানান। এদিন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। মেঘালয়ের রাজ্যপাল বলেন,'আমি উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমপ্রান্ত ঘুরে বেড়িয়েছি, মানুষ সেখানে বিজেপিকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ।' তাঁর মতে , লালকেল্লায় যেভাবে শিখ ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, তার মধ্যে কোনও গলতি ছিল না।