এতদিন সীমা-সচিনের প্রেমের কাহিনি জানার জন্য মুখিয়ে থাকত নেট দুনিয়া। তবে এবার সেই জায়গায় চলে এল সোনিয়া আর সৌরভের প্রেম কাহিনি। সোনিয়া আখতার বাংলাদেশের বাসিন্দা। আর সৌরভ কান্ত তিওয়ারি নয়ডার বাসিন্দা। সৌরভ বাংলাদেশে থাকাকালীন সোনিয়াকে বিয়ে করেছিলেন বলে খবর। তাদের বাচ্চাও হয়। পরে সৌরভ পালিয়ে আসেন ভারতে। আর এবার সোনিয়া সেই স্বামীর খোঁজে ভারতে চলে এসেছেন।
এদিকে ভারতে এসে পুলিশের কাছে প্রচুর নথি জমা দিয়েছেন সোনিয়া। সেখানে বাচ্চার সার্টিফিকেটেও সৌরভের নাম লেখা। এরপর পুলিশ সৌরভকে ডেকে পাঠায়। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে পুলিশ। এদিকে সোনিয়া লেডি অফিসারদের জানিয়ে দিয়েছেন, সৌরভকে বাংলাদেশে নিয়ে যাব। সেই জন্যই এসেছি।
সোনিয়ার দাবি, সৌরভ নিজেও স্বীকার করেছে যে সে বিয়ের জন্য মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। পুলিশ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ সব দিক থেকে অভিযোগুলি খতিয়ে দেখছে।
তবে গোটা ঘটনাটিই বাংলাদেশে হয়েছে। তাছাড়া নয়ডাতে সরাসরি লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে।
সোনিয়া নানা ধরনের নথি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এসেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল সৌরভ ধর্মান্তিরত হয়েছিলেন। তাদের মধ্য়ে ঢাকাতে নিকাহ হয়েছিল। সোনিয়া সেই সব নথি নিয়ে এসেছেন। পুলিশ সব কিছু খতিয়ে দেখছে। সেই সঙ্গেই সোনিয়া স্থানীয় আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলছেন। তাঁরা নানাভাবে তাঁকে আইনি পরামর্শ দিচ্ছেন।
সোনিয়ার দাবি, বিয়ের পরে ও ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে সৌরভ তাঁর পদবি ব্যবহার করতেন না। নিকাহনামাটি উর্দুতে হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়। তাদের বিয়ের, সন্তানের প্রমাণ হিসাবে সোনিয়া প্রচুর ছবি দেখিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সোনিয়া, সৌরভ ও তাদের সন্তান একজায়গাতেও রয়েছেন।
তবে পুলিশ সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। ছবিগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি যে নথিগুলি নিয়ে এসেছেন সেগুলি প্রয়োজনে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব মিলিয়ে এবার জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।