অনিরুদ্ধ ধর
ফের আরও একবার গুজরাট হাইকোর্টকে কার্যত তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট। এক নির্যাতিতা মহিলা গর্ভপাতের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। কারণ বিয়ে না করেই যদি গর্ভবতী হন তবে সেটা সমস্যার কারণ হতে পারে। তাছাড়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে পারেন তিনি। তবে গুজরাট হাইকোর্টের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে ২৭ সপ্তাহের গর্ভবতী হওয়ার পরেও সুপ্রিম কোর্ট এক নির্যাতিতার গর্ভপাতের নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গুজরাট হাইকোর্টে কী সব হচ্ছে? বিচারপতিরা কী এই ব্যবহার করতে পারেন? আমরা এটাকে একেবারেই প্রশংসা করছি না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় সমাজে গর্ভবতী হওয়াটা শুধু দম্পতির নয়, গোটা পরিবারের কাছে খুশির খবর।
অন্যদিকে বিয়ের বাইরে যদি কেউ গর্ভবতী হন তবে সেটা ক্ষতিকারক। সেটা মানসিক চাপের কারণ। একে তো যৌন নির্যাতন মানসিক যন্ত্রণার। সেই সঙ্গেই যদি সেটা থেকে কেউ গর্ভবতী হন তবে সেটা আরও যন্ত্রণার। সব দিক বিবেচনা করে আমরা ওই তরুণীকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিয়েছি। তাঁকে বলা হয়েছে কালই হাসপাতালে চলে যান। তবে যদি দেখা যায় ভ্রুণ বেঁচে আছে তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ইনকিউবেটরের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখবে ।
যদি বেঁচে থাকে তবে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গুজরাট হাইকোর্ট গর্ভপাতের বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করেছিল। এনিয়ে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট। তারা জানিয়েছে মূল্যবান সময় নষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ওরা ব্যাপারটি বুঝতেই পারেনি।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১১ অগস্ট মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের কাছে। আর হাইকোর্ট পরের শুনানির তারিখ নির্ধারিত করে ২৩ অগস্ট। মাঝের ১২দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই ধরনের মামলায় দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হয়। সাধারণ মামলার মতো এটা ঝুলিয়ে রাখা যায় না।
এদিকে দেখা যায় ১০ অগস্টের মেডিক্যাল রিপোর্টে নির্যাতিতার গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেটা জেনেও কেসটাকে ২৩ অগস্ট পরের শুনানির তারিখ দেওয়া হয়। তখন ওই তরুণী ২৪ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। কেন এভাবে দেরি করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।