অপরাধ করার জন্য অভিযুক্তদের দ্বারা ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে অপরাধীর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কোনও যোগ নেই। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট মামলায়, সত্রুতার জেরে বন্ধুকে খুন করেছিল অভিযুক্ত। সেই মামলায় বেশ কয়েকজন প্রতক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে নিজেদের মামলা সাজিয়েছিল সরকার পক্ষ। নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে মাদ্রাস হাই কোর্ট এই মামলায় অভিযুক্তকে এই যুক্তিতে ছেড়ে দেয় যে অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। এই আবহে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর শাহ এবং কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চের সামনে সরকার পক্ষের আইনজীবী জোসেফ অ্যারিস্টোটল দাবি করেন যে আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গোটা মামলা প্রমাণ করেছেন তিনি। তিনি সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করেছেন আদালতে। এদিকে অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাও রঞ্জিত দাবি করেন যে অপরাধে ব্যহৃত হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। পাশাপাশি অভিযুক্তের আইনজীবী সাক্ষীদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এই আবহে শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণ দেয়, ‘অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার বাধ্যতামূলক নয়।’
শীর্ষ আদালত বলে, ‘যদি ধরে নেওয়া হয় যে অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি, সেই যুক্তিতে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া যায় না। যদি প্রতক্ষদর্শীদের রূপে প্রমাণ থাকে, তাহলে অস্ত্র উদ্ধার না হলেও অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়। তাছাড়া যদি এফআইআর রুজু করার সময় নিয়েও কোনও বিবাদ থাকে, তাহলেও অভিযুক্তকে নির্দোষ বলা যায় না।’ এই পর্যবেক্ষণের পর উচ্চ আদালতের রায়কে খারিজ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের রায়কে পুনর্বহাল করে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে শীর্ষ আদালত।