নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সেই মামলাকে রাজ্যের বাইরের কোনও আদালতে স্থানান্তরিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়লেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল রাজ্যের কোনও আদালতে তিনি নিরপেক্ষ ন্যায় বিচার পাবেন না। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নৈরাজ্য তৈরি করতে পারেন বলেও শুভেন্দু অধিকারীর তরফে আবেদনে জানানো হয়েছিল। এমনকী ভোটের সময় শুভেন্দু নির্বাচনী এজেন্টকে মারধর করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে জাস্টিস হিমা কোহলির সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছেন, এই কারণে কি কোনও মামলাকে স্থানান্তর করা যায় যেখানে আপনি নির্বাচন কমিশনকেই পার্টি করেননি। এদিকে শুভেন্দুর তরফে আদালতে জানানো হয়, এটা এড়িয়ে গেলে চলবে না যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী। আদালতের বেশিরভাগ বিচারপতি হয় তাঁকে পক্ষে অথবা বিপক্ষে যাবেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার নিরপেক্ষ বিচার সম্ভব নয়।
সেক্ষেত্রে বিচারপতি কোহলির প্রশ্ন, আপনি কি মনে করছেন এই পিটিশন শোনার মতো যোগ্যতা গোটা আদালতের নেই? নির্বাচনী পিটিশন শোনার জন্য এই আদালতকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই মামলাকে কেন অন্য কোর্টে স্থানান্তর করতে হবে এটাই তো লাখ টাকার প্রশ্ন। আইনজীবী মহেশ জেঠমালানিতে তিনি প্রশ্ন করেন, স্বচ্ছ বিচার বলতে কী বোঝেন? এদিকে সপ্তাহ দুয়েক পর ফের এই মামলার শুনানি হবে।