প্রায় ৯০ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র। কোর্ট তখন রাজ্যদের এই সমস্ত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি রোডম্যাপ বানাতে বলে। নিজেদের অর্ডার আগামী মঙ্গলবারের জন্য রিজার্ভ করেছে আদালত।
এদিন বিচারপতি অশোক ভূষণ, এসকে কৌল ও এমআর শাহের ডিভিশ বেঞ্চ বলে যে রাজ্যদের জানাতে হবে তারা পরিযায়ীদের কর্মসংস্থান প্রদান করার জন্য কী কী প্রকল্প চালাচ্ছে। ট্রেনে করে প্রায় এক কোটি মানুষ ঘরে ফিরেছেন বলে জানান সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। ট্রেনে মৃত্যু সম্ব্ন্ধে তিনি বলেন যে খাদ্য, জল বা চিকিত্সার অভাবে কেউ মারা যায়নি বলে রেলের তদন্তে উঠে এসেছে।
বেশিরভাগ শ্রমিক ফিরে এলেও আর যারা আসতে চান তাদের ২৪ ঘণ্টার নোটিসে ট্রেন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পরিযায়ীদের ফেরোনার বিষয়ে জোর দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন আদালত বলে আমরা চাই রাজ্যগুলি জানাক তারা কী করেছে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে কোথা থেকে কোন গ্রামে বা জেলায় কারা আসছেন সেই সম্পর্কিত রেকর্ড রাখতে বলেছে আদালত। আগামী নয় তারিখের নির্দেশে এগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে আদালত।
এই প্রসঙ্গে একমাত্র বিহারই কাজের কাজ কিছু করেছে। আপাতত ২৮ লক্ষ শ্রমিক ফিরেছেন ও তার মধ্যে দশ লাখের স্কিল ম্যাপিং করেছে রাজ্য, বলে জানান রাজ্যের কৌঁসুলী। কেরালা জানায় যে তারা পরিযায়ীদের টিকিটের টাকা দিতে পারবে না, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাদের সেই টাকা মিটিয়ে দিতে বলে।দিল্লি জানায় প্রায় ৩ লাখ পরিযায়ী রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছেন ও অধিকাংশই ফেরার পরিকল্পনা করছেন না। মহারাষ্ট্র ছেড়ে গিয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। বাংলার তরফ থেকে বলা হয় যে রাজ্যের কাছে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই আর কত লোক ফিরতে চান তবে অনুমান হল যে ৬ লক্ষ ফিরতে চান।
সলিসিটার জেনারেল বলেন যে বাংলা ১৭টি ট্রেনের অর্ডার করেছে। তখন সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেন বাংলার কৌঁসুলীকে যে ১৭ টি ট্রেনে কী করে ছয় লক্ষ মানুষ বাড়ি যাবেন। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বলে যে শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতিটি গোলমেলে ট্রেন ধরার জন্য। ফর্মটি ইংরাজিতে বলে অনেকে ভরতে পারছেন না, এই অভিযোগও ওঠে। সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয় ৯০ শতাংশ শ্রমিক যখন ফিরেই গেছে, তাহলে এই পদ্ধতিই রাখা হোক। মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় দেবে আদালত।