বিজয় কুমার যাদব
মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হানা হতে পারে। এনআইএর কাছে এনিয়ে হুমকি মেল আসে। তারপরই মুম্বইতে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এনআইএ, মুম্বই পুলিশ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ, মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড যৌথভাবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে এনআইএর মুম্বই অফিসে একটি মেল এসেছিল। সেই মেলের প্রেরকের পরিচয় জানা যায়নি।
ওই হুমকি মেলের প্রেরক নিজেকে তালিবান বলে দাবি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তালিবান নেতা সিরাজুদ্দিন হক্কানির নির্দেশে হামলা চালানো হবে।এই মেল পাওয়ার পরেই এনআইএ বৃহস্পতিবার বিকালে মুম্বই পুলিশকে, মহারাষ্ট্র পুলিশকে ও স্টেট অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডকে সতর্ক করে দেয়। এরপরই ৯৫টি থানা এলাকায় এটিসিকে সজাগ করে দেওয়া হয়। কোথাও কোনওরকম সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গেলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
এদিকে ওই মেলটি ঠিক কোথা থেকে পাঠানো হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইন্টারনেট প্রটোকল অ্য়াড্রেসটির খোঁজ করা হচ্ছে। ঠিক কোন জায়গা থেকে এটি পাঠানো হয়েছিল, কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে তার খোঁজ চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কি না তা পরিষ্কার নয়। তবে সুরক্ষা বাহিনী সব দিক থেকে সমস্ত সম্ভাবনার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে। কোনওভাবেই যাতে হালকা ভাবে বিষয়টি না নেওয়া হয় সেটাও দেখা হচছে।
এদিকে পুলিশ সহ বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সি এনিয়ে সতর্ক রয়েছে। কোথাও সন্দেহজনক গতিবিধি রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।
এর আগে মুম্বইতে ২৬/১১ হামলা প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের একসাথে এই বার্তাটি দেওয়া উচিত যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেবে না এবং ন্যায়বিচার প্রদানে কখনই হাল ছাড়বে না। ২৬/১১ কখনও ভোলা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘২৬/১১-র জঙ্গি হামলার মূলচক্রী এবং ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সুরক্ষিত আছেন। তাদের সাজা হয়নি।’ তিনি আরও জানান, মুম্বই হামলার চক্রীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।
এদিকে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূলে অস্ত্র,বিস্ফোরক বোঝাই একটি বোট পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার হরিহরেশ্বর তীরের কাছে এই বোটটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা গিয়েছে বোটে AK47 রাইফেল,বিস্ফোরক ও গুলি ছিল। প্রাথমিক ভাবে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করা হলেও পরে জানা যায় এই বোটটি আদতে এক অস্ট্রেলিয়ান দম্পতির।