মারাঠা রাজনীতি তথা জাতীয় রাজনীতিতে নয়া চাঞ্চল্য তৈরি করে বড়সড় বোমা ফাটালেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে মোদীর প্রসঙ্গে তিনি মুখ খোলেন। সেখানেই তিনি বলেন যে, মহারাষ্ট্রের বুকে এনসিপি-বিজেপি জোট গড়ার জন্য তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রস্তাবে মোদীর মুখের ওপরেই কার্যত শরদ 'না' বলে দেন বলে জানিয়েছেন 'মারাঠা স্ট্রংম্যান' শরদ পাওয়ার।
মহারাষ্ট্র-রাজনীতির লৌহপুরুষ হিসাবে পরিচিত শরদ পাওয়ার এক সাক্ষাৎকারে প্রসঙ্গ তোলেন ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের। উল্লেখ্য, সেই সময় সবেমাত্র শরিকি জোট থেকে বিজেপির হাত ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে শিবসেনা। তারা সরকার গড়ার লক্ষ্যে জোট অঙ্কে ততক্ষণে মনোনিবেশ করেছে। আর অন্যদিকে বিজেপিও নিজের সমীকরণে সরকার গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকে নজর রেখে চলেছিল। এর আগে, এই নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোট গড়ে লড়ার পরও , ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির হাত ছেড়ে দেয় ঠাকরে শিবির। শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, সেই সময় এনসিপির সঙ্গে বিজেপির জোট গড়ার প্রস্তাব দেন নরেন্দ্র মোদী। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার বলেন, মোদীর প্রস্তাব পেতেই তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, 'দুটি পার্টির আদর্শ আলাদা। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া সম্ভব নয়।' শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, সে সময় জোট প্রস্তাব সম্পর্কে মোদী বলেছিলেন, 'এটা নিয়ে ভাবুন, ভবিষ্যতে আমাকে জানাবেন।'
এদিকে, মহারাষ্ট্রে ঠাকরে সরকারে এনসিপির জোট শরিক শিবসেনার তরফে এই রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, 'যদি মিস্টার পাওয়ার একথা বলে থাকেন, তাহলে এটা সত্যি।' একই সঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর মসনদ দখল করতে বিজেপি মরিয়া ছিল। ফলে এই ধরনের পন্থা বিজেপি নিতেই পারে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের রাজনীতির প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, মারাঠাভূমে সেইবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের ৯০ দিন পরও সেখানে সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রী হয়তো ভেবেছিলেন যে ,এনসিপির সঙ্গে বিজেপি জোট করলেই সম্ভবত রাজ্য স্থায়ী সরকার পাবে। উল্লেখ্য, সামনেই ২০২৪ সালে দেশের লোকসভা ভোটের বছরেই মহারাষ্ট্রেও বিধানসভা ভোট সংগঠিত হওয়ার কথা। তার বহু আগে, ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির যখন ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত তখন মহারাষ্ট্রের প্রবীণ নেতার এমন বক্তব্য ঘিরে চলছে জোর চর্চা।