পিঠে ব্যাগ। কাঁধের একদিকেও একটি ব্যাগের মতো জিনিস ঝোলানো আছে। সেভাবেই হেঁটে যাচ্ছে এক যুবক। সেরকমই একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই যুবক আসলে শ্রদ্ধা ওয়ালকারের প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালা।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে শ্রদ্ধারা যেখানে থাকতেন, সেই বাড়ির কাছের একটি সিসিটিভিতে সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। ওই সিসিটিভি ফুটেজ ১৮ অক্টোবর ভোররাতের বলে দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ গত ১৮ মে শ্রদ্ধা ‘খুন’ হওয়ার পাক্কা পাঁচ মাস পরের সেই ফুটেজ সামনে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজটি ঝাপসা হলেও পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি আসলে আফতাব।
দিল্লি পুলিশের দাবি, চলতি বছরের ১৮ মে শ্রদ্ধাকে 'খুন' করেছিল আফতাব। তারপর মৃতদেহের ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। যা কয়েকদিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়েছিল। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির বাইরেও শ্রদ্ধার দেহাংশ ফেলা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুগ্রামে যে দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে, তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ মতো আফতাবের নারকো টেস্টের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
তারইমধ্যে পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজেকে শ্রদ্ধার বন্ধু হিসেবে দাবি করণ নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন যে ২০২০ সালের নভেম্বরে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছিলেন তরুণী। সেই সংক্রান্ত হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটও (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সামনে এসেছে। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁকে একটি ছবি পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। যা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে শ্রদ্ধা গুরুতর আহত হয়েছেন। ডান চোখের নীচে কালো দাগ ছিল। ক্ষত ছিল ঘাড়ে। মেডিক্যাল রিপোর্টও পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। যা এখনও তাঁর ফোনে আছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
তাঁর দাবি, শ্রদ্ধার মেসেজের পর অপর এক বন্ধুকে ফোন করেছিলেন। যিনি শ্রদ্ধাকে থানায় এবং হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেইসময় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি শ্রদ্ধা। কারণ আফতাবের অভিভাবকরা আশ্বস্ত করেছিল। যদিও তারপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলে দাবি করেছেন করণ। তাঁর দাবি, গত বছর মার্চে তাঁদের অফিস ছেড়ে দিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। তারপর থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে কখনও সামনা-সামনি দেখা হয়নি বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।