রাজ্যের কোষাগারে ক্রমশ বোঝা বাড়ছিল। এই অবস্থায় যাঁরা রাজ্যের ভূমিপুত্র নন, তাঁদের থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়া হবে বলে জানাল সিকিম।
যাঁরা সিকিমের ভূমিপুত্র নন, তাঁরা এতদিন বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুবিধা পাচ্ছিলেন। কিন্তু রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য কর্তা জানান, রাজ্যের কোষাগারের উপর থেকে বোঝা হালকা করতে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের থেকে টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সিকিমের ভূমিপুত্ররা যেমন বিনামূল্যে পরীক্ষা করতে পাচ্ছিলেন, তাঁরা এখনও সেই সুযোগ পাবেন।
গত ৩০ জুন রাজধানী গ্যাংটকে মুখ্যমন্ত্রী পি এস তামাংয়ের পৌরহিত্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে স্বাস্থ্য পরিষেবার মুখ্য অধিকর্তা কেশরী রাইয়ের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, 'অন্য জায়গা থেকে রাজ্যে সিকিমের ভূমিপুত্র ছাড়া অন্য কোনও মানুষ এলে আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য তাঁদের থেকে ৩,৫০০ টাকা ধার্য করা হবে এবং ট্রুন্যাট টেস্টিংয়ের জন্য দিতে হবে।’
যে ব্যক্তি বা মহিলার সিকিম সার্টিফিকেট অফ আইডেন্টিটি এবং সিকিম সাবজেক্ট সার্টিফিকেট নেই, তাঁরা সিকিমের ভূমিপুত্র নন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজ্য ছিল সিকিম এবং সংবিধানের ৩৭১ (এফ) ধারার আওতায় কয়েকটি পুরনো নিয়মকানুন এখনও সিকিমে প্রচলিত আছে।
সিকিমের স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল তথা সেক্রেচারি পেম্পা শেরিং ভুটিয়া বলেন, ‘সিকিমের ভূমিপুত্র নন, এমন অনেকেই রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন, বিশেষত যাঁরা ফার্মাকিউটিকাল সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জলবিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করেন। যাঁরা ফেরত আসছিলেন, তাঁদের সকলের বিনামূল্যে বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করছিলাম। তার জেরে রাজ্যের কোষাগারে চাপ পড়েছে। সিকিমের ভূমিপুত্র নন, এমন যাঁরা ফিরছেন, শনিবার থেকে তাঁদের টাকা দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’