দেশের রাজনৈতিক পারদকে কার্যত তুঙ্গে দিলে দিয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিদের ঘটনা। হাইভোল্টেজ ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে, ২০১৯ সালের এক মানহানির মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুরাটের এক কোর্ট। সেই মামলায় রাহুলের ২ বছরের কারাবাসের সাজা হয়। এরপর রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ করে দেওয়া হয়। একথা জানিয়েছে লোকসভার সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তি। এদিকে, রাহুল গান্ধী সাংসদপদ খোয়াতেই রণনীতি স্থির করতে বসেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী সমেত কংগ্রেসের একাধিক নেতা নেত্রী। একনজরে দেখা যাক বৈঠক ঘিরে কিছু দিক।
বৈঠকে সনিয়া গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম, জয়রাম রমেশ। এছাড়াও ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা, কেসি ভেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ, রাজীব শুক্লা এবং তারিক আনোয়ার, সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা, অম্বিকা সোনি, মুকুল ওয়াসনিক, সালমান খুরশিদ এবং পবন কুমার বনসাল সমেত অনেকে।
এদিন লোকসভার সচিবালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ করা হল। সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী, কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২ বছর বা তার বেশি সাজা পেলে তিনি তাঁর সংসদীয় পদ খোয়াতে পারেন। সেই বিধি অনুযায়ী রাহুলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ আসে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের এক মামলায় 'মোদী' পদবী ঘিরে এক মন্তব্যের জেরে রাহুলকে ২ বছরের কারাবাসের সাদা দেয় সুরাট কোর্ট। সেই মামলায় আপাতত ১ মাসের জামিন পেয়েছেন রাহুল।
পদ খোয়ানোর পর রাহুল গান্ধী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘আমি দেশের কণ্ঠের জন্য লড়াই করছি। আর এর জন্য কোনও রকমের মূল্য চোকাতে আমি তৈরি।’
উল্লেখ্য, মোদী গড় গুজরাটের সুরাটের জেলা আদালতের এই মামলার রায়ের প্রেক্ষাপটে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার ঘটনায় জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সমেত একাধিক বিরোধী নেতা নেত্রী এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন।