ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। কঠোর পরিশ্রম আর লক্ষ্য স্থির থাকলে পিওনও যে অধ্য়াপকস্তরে উন্নীত হতে পারেন তা দেখিয়ে দিলেন ভাগলপুরের কমল কিশোর মণ্ডল। বর্তমানে তাঁর বয়স ৪২ বছর। ভাগলপুর শহরের বাসিন্দা তিনি। ২০০৩ সালে মুঙ্গেরে আরডি ও ডিজে কলেজে তিনি প্রথমদিকে নাইট গার্ড হিসাবে নিয়োজিত হয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৩ বছর। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ছিলেন। কিন্তু পেটের টানে নাইট গার্ডের কাজ করা শুরু করেছিলেন।
এরপর তিলকা মাঝি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পদোন্নতি হয়ে তিনি পিওন হয়েছিলেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস দেখে তাঁর আবার পড়তে ইচ্ছা জাগে। এবার তিনি এমএ ক্লাসে ভর্তি হন। ২০০৯ সালে তিনি এমএ পাশ করেন। এরপর তিনি পিএইচডি করার জন্য় তিনি সম্মতি চান। ২০১২ সালে সেই সম্মতি মেলে।
২০১৩ সালে তিনি পিএইচডি করা শুরু করেন। ২০১৭ সালে তিনি থিসিস জমা দেন। ২০১৯ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি পান। ইতিমধ্যে তিনি নেটও পাশ করেন। এরপর বিহার স্টেট ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশন চারজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে। এরপর যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পিওনের কাজ করতেন সেখানেই তিনি অধ্যাপকের চাকরি পান।
আর সেই অধ্যাপকের ছোট্ট দু কামরার ঘরে গিয়েই অনেকে এখন তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছেন। ইচ্ছা শক্তি প্রবল থাকলে বাধা কীভাবে অতিক্রম করতে হয় সেটাই কার্যত করে দেখিয়েছেন কমল কিশোর।