সপ্তাহের প্রথম দিনেই ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই। সোমবার সকাল দশটার একটু পরেই গোটা মুম্বই শহর জুড়ে আলো চলে যায় গ্রিড ফেলিওরের কারণে। শুধু মুম্বই নয়, থানে ও নবি মুম্বই সহ সমগ্র মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়নে একই হালে। বিদ্যুতের অভাবে স্তব্ধ হয়ে যায় মুম্বইয়ের লাইফলাইন লোকাল ট্রেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বাদে ধাপে ধাপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কেন এত বিশাল জায়গা জুড়ে গ্রিড ফেল করল সেটা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মুম্বইয়ের প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বেস্ট জানায় টাটাদের লাইনে বিভ্রাটের জন্যেই এই অবস্থা। বেস্ট, টাটা, আদানি- প্রায় কোনও সংস্থাই বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। জানা যায় শুধু মুম্বই নয়, লোনাভালা, খাণ্ডালা, পাওয়ানা, আলিবাগ, আম্বি ভ্যালি প্রভৃতি শহরেও বিদ্যুৎ নেই।
এর জেরে সেন্ট্রাল ও ওয়েস্টার্ন লাইনে বন্ধ ছিল মুম্বই লোকাল। কালওয়াতে সেন্ট্রাল লাইনে গ্রিড ফেলিওরের ফলে এই অবস্থা হয় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। মোট ৩৬০ মেগা ওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গিয়েছিল।
পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশ্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সক্রিয় হন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তাদের দ্রুত কাজের জেরেই দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। তবে কেন এরকম কাজের দিনে এই অবস্থা হল, সেটা তদন্ত করে দেখতে বলেছেন মহারাষ্ট্রর মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
তবে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং বন্ধ হয়নি এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যেও। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সমস্ত অনলাইন পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে। আগামী রবিবার দিন এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পাওয়ার কাটের বিষয়টি নিমেষে টুইটারে টপ ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছিল। বলিউড তারকারাও এই নিয়ে টুইট করেন। মুম্বইকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কঙ্গনা রানাওয়াত।