দিল্লি-সহ ভারতে দ্রুত হারে বেড়ে চলা কোভিড রোগীর সংখ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সব রাজ্য সরকারের থেকে কোভিড চিকিৎসায় তাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ‘নভেম্বর মাসের গত দুই সপ্তাহে দিল্লিতে মৃতের হার বেড়েছে। একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও অসমে। আমাদের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি জানা দরকার।’
এ দিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে দেশের সামগ্রিক কোভিড পরিস্থিতি এবং বিশেষ করে দিল্লির পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মেহতা তাঁর উত্তরে বলেন, গত ১৩ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আইসিইউ বিভাগে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও অসম সরকারকে সাম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতি জানিয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশদেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে সংক্রমিতের সংখ্যাবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত।
সলিসিটর জেনারেলকে উদ্দেশ্য সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘কোথৈায় আমাদের খামতি থাকছে, তা খুঁটিয়ে দেখা দরকার। আমাদের মনে হচ্ছে, আগামী কয়েক মাস রাজ্য সরকারগুলিকে আরও প্রস্তুতি নিতে হবে।’
কোভিড চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীদের সঠিক যত্নের অভাব এবং মৃতদেহ ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৯ ও ২৭ জুন রাজ্য প্রশাসনের থেকে এ বিষয়ে সবিস্তারে রিপোর্টতলব করা হয়। সেই সময় অধিকাংশ রাজ্য রিপোর্ট জমা দিলেও বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই করতেই নতুন রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল শীর্ষ আদালত।
বিশেষ করে কোভিড আবহে কী করে গুজরাতের মতো রাজ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে এবং জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হচ্ছে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। গুজরাত সরকারের তরফে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকেদিল্লি প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন আদালতকে জানান, দিল্লির হাসপাতালগুলিতে মৃত কোভিড রোগীদের শেষকৃত্যের জন্য ৩৮০টি স্লট রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১১৫টি বেসরকারি হাসপাতালের ৮০% আইসিইউ শয্যা নির্দিষ্ট করা হয়েছে কোভিড রোগীদের জন্য। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থির উপরে তৈরি রিপোর্ট জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন জৈন।