বাবা এলএস রাওয়াতও ছিলেন সেনাবাহিনীতে। আর ১৯৫৮ সালের ১৬ই মার্চ দেরাদুনে জন্মেছিলেন বিপিন রাওয়াত। ন্যাশানাল ডিফেন্স আকাদেমির সেই প্রাক্তনী বিপিন রাওয়াত হয়েছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ। আর তাঁর এই দীর্ঘ কর্মজীবনে বার বার সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। উত্তর পূর্বের জঙ্গি ঘাঁটি নিকেশ থেকে বালাকোট বিমান হানা সবেতেই দেশ দেখেছিল বিপিন রাওয়াতের নিখুঁত সামরিক দক্ষতা।
উত্তর পূর্বে জঙ্গি দমনে একেবারে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে মণিপুরে জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ১৮জন জওয়ান। এবার পালটা প্রত্যাঘাত করার জন্য তৈরি হন বিপিন রাওয়াত। তখন প্য়ারা থার্ড কর্পসের কমান্ডার বিপিন রাওয়াত। সেই সময় মায়ানমারে ঢুকে একাধিক NSCN জঙ্গিকে নিকেশ করেন ভারতীয় কমান্ডোরা। সেই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিপিন রাওয়াত।
২০১৬ সালে সার্জিকাল স্ট্রাইকের সময়তেও তিনিই ছিলেন ভাইস চিফ অফ আর্মি স্টাফ। এদিকে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিল ৪০জন সেনা জওয়ান। এরপর বালাকোট বিমান হানা। গোটা দেশ সেদিন দেখেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিপুন দক্ষতা, সাহসিকতা। পাকিস্তানের বালাকোটে গিয়ে সেবার ভারতীয় সেনা জওয়ানরা গুড়িয়ে দিয়েছিল জঙ্গি ক্যাম্প। আর সেই সাফল্য যখন যুক্ত হয়েছিল ভারতীয় সেনার ইতিহাসে, তখন আর্মি চিফ ছিলেন বিপিন রাওয়াত।