ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। এথিক্স কমিটির সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছে সংসদ। তবে তৃণমূল এই পদক্ষেপকে অনৈতিক বলে উল্লেখ করেছে। তবে এবারই প্রথম কোনও সাংসদকে বহিষ্কার করা হল এমনটা নয়।
এর আগে ২০০৫ সালে সংসদের দলনেতা প্রণব মুখোপাধ্য়ায় একই দিনেই ১০জন সাংসদকে বহিষ্কার করার জন্য় মোশন এনেছিলেন। নিউজ ১৮ ইংলিশের এর প্রতিবেদন অনুসারে এই বহিষ্কার হওয়ার আগের কিছু ঘটনা সামনে এসেছে।
সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার এইচজি মুদগলকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সংসদ থেকে। এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার জেরে ১৯৫১ সালে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। সেই শুরু।
১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তোলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
১৯৭৬ সালে রাজ্যসভার সাংসদ জনসংঘের নেতা সুহ্মমণিয়ম স্বামীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে ২০০৫ সালে ১০জন সাংসদকে বহিষ্কারের মুখে পড়তে হয়। ঘুষ নেওয়ার ঘটনা ক্য়ামেরায় ধরা পড়েছে বলেও সেই সময় দাবি করা হয়েছিল।
ওড়িশার ছত্রপাল সিং লোধাকেও ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
কর্ণাটকের সাংসদ বিজয় মালিয়াকে লোন সংক্রান্ত গরমিলের জেরে বহিষ্কার করা হয় সংসদ থেকে।
এদিকে সুরাটের আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীকেও। মানহানির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়।
এবার বহিষ্কার করা হল মহুয়া মৈত্রকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন। দর্শন হীরানন্দাানি নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি ঘুষ নিয়ে আদানির বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধরে সংসদে প্রশ্ন করেছেন বলে অভিযোগ। এরপর এথিক্স কমিটির কাছে যায় বিষয়টি। এথিক্স কমিটি মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। শেষ পর্যন্ত সংসদে ধ্বনি ভোটে পাশ হয় বিষয়টি। সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে।