রাজ্যের থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকী জল্পনা শুরু হয়েছিল বিরোধী দলনেতা পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই চাপের মুখে পড়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ত্রিপল চুরি নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে তিনি বলেন, ‘আমার এত দুর্ভাগ্য হয়নি যে ত্রিপল চুরি করতে যাব। এফআইআর দায়ের যে কেউ করতেই পারে। আইনি পথে তার জবাবও দেওয়া হবে।’ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে মঙ্গলবার শুভেন্দু রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুখ্যসচিব অসম্মান করেছেন।’
ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভা থেকে ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দু–সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঁথি পুরসভার পৌর–প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রত্নদ্বীপ মান্না। তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই গত ২৯ মে পুরসভার গুদামে একটি ছোট লরিতে করে ৪–৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ান আসে। আর ত্রাণের জন্য রাখা লক্ষাধিক টাকার ত্রিপল লুঠ করে। এই কজে সাহায্য করেন পুরসভার দুই কর্মচারী, হিমাংশু মান্না এবং প্রতাপ দে।
এদিন ভোট–পরবর্তী হিংসা নিয়ে তথ্য অমিত শাহের হাতে তুলে দেন তিনি। তারপর টুইটে লেখেন, ‘বাংলার জন্য আশীর্বাদ চেয়েছি।’ দিল্লিতে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই শুভেন্দু বলেন, ‘নবনির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংবিধান মানছে না। ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত। রাজ্যে ৩৫৬ জারির থেকেও খারাপ অবস্থা।’ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।