পঞ্জাবের বাসিন্দা পরশ সিং। সম্প্রতি সে ইউ টিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে অরুণাচলের কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে বলে অভিযোগ। সেখানে বলা হয় এরিং ঠিক ভারতীয়র মতো দেখতে নন। তাঁর নামটাও বিদেশি শোনাচ্ছে। এমনকী অরুণাচলের মানুষও ভারতীয়দের মতো দেখতে নয়। সম্ভবত এই অংশটি চিনের অংশ হতে পারে বলে ওই ভিডিওতে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এরপরই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। অরুনাচল সরকারের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। তাকে উত্তর পূর্বের রাজ্যেও আনা হতে পারে। কিন্তু ওই ভিডিওকে ঘিরে কার্যত ভাবাবেগে ব্যাপক আঘাত লেগেছে উত্তর পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের অনেকেরই। তারই নিরিখে এবার জোট বাঁধছেন ছাত্র ছাত্রীরা।
এবিভিপি ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি, ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্য়ান্ড ট্রেনিংয়ের(NCERT ) সিলেবাসে উত্তরপূর্ব ভারতের সংস্কৃতি, ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। এনিয়ে টুইটারে ঝড় তুলতে চাইছেন নর্থ ইস্টের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তাঁদের দাবি দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষের নর্থ ইস্ট সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার নয়। এর জেরে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সেকারণে এনসিআরটির সিলেবাসের মধ্য়ে নর্থ ইস্টের কথা সংযোজন করার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
দিল্লি ইউনিভার্সিটির নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস সোসাইটির পদাধিকারী, হেংগম রিবা বলেন, 'অপ্রীতিকর মন্তব্য করা হচ্ছে নর্থ ইস্ট সম্পর্কে। আমরা চাইছি NCERT বইতে উত্তর পূর্ব ভারত সম্পরর্কে চ্যাপটার রাখা হোক। এতে ভারতের বাকি অংশের মানুষরা উত্তরপূর্ব ভারতের ইতিহাস, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।' অসমিয়া গায়ক জুবিন গর্গ সহ অনেকেই এই টুইটার ঝড়কে সমর্থন করেছেন। যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করে বর্ণবিদ্বেষকে সমূলে উপড়ে ফেলতে চাইছেন সকলেই।