এবার বাংলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে আসছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব।জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে তিনি রাজ্যে প্রচারে আসছেন।বাংলায় প্রচুর বিহারের মানুষের বাস।তাঁদের কাছে মমতার হয়ে প্রচার করতেই তাঁর বাংলা সফর।সব কিছু ঠিক থাকলে, আগামী সপ্তাহে বেশ কিছু জায়গায় প্রচারে আসবেন তেজস্বী।
গত বুধবার দেশের বিজেপি বিরোধী নেতাদের কাছে চিঠি লেখেন মমতা।বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন তিনি।ইতিমধ্যে তৃণমূল নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েছে শিবসেনা, এনসিপি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, আম আদমি পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলি।এবারের রাজ্যের ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করে এখানে কোনও প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তেজস্বী।তেজস্বীর ঘনিষ্ট সঞ্জয় যাদব জানান,‘আমরা তৃণমূল নেতা ও আরো অনেক প্রার্থীদের কাছ থেকে তেজস্বী যাদবকে প্রচারে আনার অনুরোধ পেয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সূচি তৈরি হয়নি।রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আমরা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’ জানা যাচ্ছে, আগামী ১৭ ও ২৬ এপ্রিলের ভোটের আগে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব রাজ্যে বেশ কিছু জয়গায় সভা করতে পারে। এই দুই দফায় বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুরে ভোট রয়েছে। সেখানে প্রচুর বিহার থেকে আসা মানুষের বাস রয়েছে। বিহারি ভোট যাতে তৃণমূলের পক্ষে যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই তেজস্বীকে প্রচারে কাজে লাগানো হবে।
এর আগে নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে যান তেজস্বী যাদব।দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়।এরপর তেজস্বী তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেন।তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়, এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের পাশেই দাঁড়াচ্ছে আরজেডি।দলের রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, তেজস্বী খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় নির্বাচনী প্রচার করতে যাবেন।তেজস্বীর এই বাংলা সফর নিয়ে বিহারের রাজনীতিতেও শোরগোল পড়ে গেছে।বিজেপি অবশ্য তেজস্বীর বাংলা সফরকে ভালো চোখে দেখছে না।বিহার বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ জানান, সম্প্রতি বিহার, উত্তর প্রদেশের মানুষদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী।তেজস্বী তো এই নিয়ে কিছু বলছে না।এর বিরুদ্ধেও তো প্রতিবাদ করা উচিত।যদিও এর পাল্টা জবাব দিয়ে দিয়েছে আরজেডি।আরজেডির মুখপাত্র জানান, বিজেপি আসলে তৃণমূল নেত্রীর কথাই অন্য অ্যাঙ্গেলে খেলে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।