পুলওয়ামা হামলার বর্ষপূর্তির আগে দিল্লিতে হামলার ছক কষেছিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাশ্মীর থেকে দিল্লিতে এসে পৌঁছেছিল রিয়াজ আহমেদ রথার নামক এক জঙ্গি। উল্লেখ্য, এই জঙ্গি একজন প্রাক্তন সেনাকর্মীও বটে। তবে এই হামলার পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বানচাল করে দিল দিল্লি পুলিশ। এই আবহে দিল্লির ডিসিপি কেপিএস মলহোত্রা জানান, রিয়াজ বর্তমানে লস্করের কুপওয়ারা মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সম্প্রতি সীমান্ত পার থেকে এই মডিউলের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে একে৪৭-এর মতো বন্দুকও আছে। এর মধ্যে অনেক অস্ত্র পাচারের সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের উপকূলে ধরা পড়ল কুয়েতি নৌকা, আটক ৩, প্রকাশ্যে রোমহর্ষক কাহিনী)
আরও পড়ুন: পরপর উড়ে এল ৩টি 'ব্যালিস্টিক মিসাইল', ফের সাগরে আক্রান্ত ভারতগামী জাহাজ
জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে লস্করের এই পাচার হওয়া অস্ত্র বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর সেখান থেকে পালিয়ে জবলপুর হয়ে দিল্লি চলে আসে রিয়াজ। দিল্লিতে তার চেনা পরিচিতদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে সে এবং রাজধানীতে হামলার ছক কষে। তবে গোপন সূত্র খবর পেয়ে রিয়াজকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। বর্তমানে দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা ছাড়াও আরও একাধিক বাহিনীর তরফ থেকে জেরা করা হচ্ছে তাকে। তার সহযোগীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকেও রিয়াজের গ্রেফতারির খবর জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ দিন ধরে ধর্ষণ, গায়ে ঢালা হয় গরম ডাল! দিল্লিতে বন্ধুর লালসার শিকার বাংলার তরুণী
জানা গিয়েছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে দিল্লি পুলিশকে জানানো হয়েছিল যে কিছু জঙ্গি রাজধানীর দিকে যাচ্ছে। সেই জঙ্গিদের মধ্যে রিয়াজও ছিল বলে জানিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকায় তল্লাশি অভিযানের সময় রিয়াজের পাঁচ সহযোগী আগেই গ্রেফতার হয়েছিল। সেই অভিযানের সময় কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল রিয়াজ। সেখান থেকে জবলপুর যায় সে। সেখান থেকে ট্রেনে করে দিল্লি আসে রিয়াজ। তার আসার খবর আগে থেকে পেয়ে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তাই স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সাদা পোশাকে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এরপর স্টেশনেই রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ তার পিছু নিয়েছে বুঝতে পেরেই দিল্লি রেল স্টেশনের ১ নং গেট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে রিয়াজ। তবে সেই সময় পুলিশের অ্যালার্ট টিমকে জানানো হয়। তারা রিয়াজকে স্টেশনের বাইরে ধরে ফেলে। রিয়াজের কাছ থেকে ফোন এহং সিমকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে জেরার সময় জানা গিয়েছে, আলতাফ নামক এক সঙ্গীর সঙ্গে মহাকোশাল এক্সপ্রেস ধরে জবলপুর থেকে হজরত নিজামউদ্দিন স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে অটো করে নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে যায় সে। সেখানে এক সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তার। সেখানেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।